ঠাকুরগাঁওয়ের হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা

ঠাকুরগাঁওয়ের হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা
 জুনাইদ কবির, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি     :   উত্তরের জেলা ঠাকরগাঁওয়ে  এবার হেমন্তের মধ্যেই শীতের বেশ আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দিনে রোদ আর রাতে হালকা কুয়াশার সাথে সাথে বইছে হিমেল হাওয়া।   দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার এমন তারতর্ম  হওয়ায়  বেড়েছে শীতজনিত রোগীর  সংখ্যা। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
ঠাকুরগাঁও  আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই   সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে   ভর্তি হচ্ছেন। আবার কেউ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।   রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।   অন্যদিকে  হাসপাতালে শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশী হওয়ায়  বেডের অভাবে অনেকে মেঝেতে বিছানা করেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।  ঠাকুরগাঁও  আধুনিক সদর হাসপাতাল ছাড়াও ক্লিনিক গুলোতেও বেড়েছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।  আখানগর থেকে আসা হুসনেয়ারা বেগম জানান,তাঁর সন্তানের ডায়রিয়া হওয়ায় কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে   ভর্তি রায়েছেন।
 শিশু ওয়ার্ডে বেডের তুলনায় দুই থেকে তিন গুন রোগী। একটি বেডে ২-৩ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। ফজিলা বেগম জানান, ঠান্ডা গরমের কারনে তার মেয়ের সর্দি-জ্বর তাই হাসপাতালে ভির্তি রেয়েছেন ৩ দিন হল। বেডে জায়গা না পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন । জগন্নাত পুরের ফয়জুল জানান, শীত এলেই তার শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায় । বিশেষ করে ঠান্ডা গরমের কারনে গত কয়েক দিন ধরে অসুস্থ্য তিনি। তাই হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
  হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ১০০ বেডের হাসপাতালে রোগী ভর্তি দৈনিক রোগী ভর্তি থাকছে ৩৫০-৪০০ । বর্হির বিভাগে ৮০০-১০০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।এর বেশীর ভাগ রোগী শীত জননিত রোগে আক্রান্ত ।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের  আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাকিবুল আলম চয়ন জানান, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এই সময়ে বেশিরভাগ শিশুরা সর্দি, জ্বর,কাশি, শ্বাসকষ্ট,ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তিনি বলেন, যেহেতু আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে এই সময়ে শিশু ও বৃদ্ধদের বিষয়ে সচেতন থাকবে হবে। তারা যেন ঠাণ্ডায় আক্রান্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন