এতো হ্যান্ডসাম ম্যান আমি লাইফে দেখিনি: ঋতুপর্ণা

এতো হ্যান্ডসাম ম্যান আমি লাইফে দেখিনি: ঋতুপর্ণা

এতো হ্যান্ডসাম ম্যান আমি লাইফে দেখিনি: ঋতুপর্ণা

৮৬ বছরে বয়সে শেষ হলো সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কর্মময় দীর্ঘ পথচলা। হাসপাতালে লম্বা লড়াইয়ের পর চলে গেলেন বাংলার প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা, নাট্যকার-বাচিকশিল্পী-কবি ও চিত্রকর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

বাংলা সিনেমার এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ভারতীয় সিনেমার আঙিনায়। শোক প্রকাশ করছেন ভারতের নানা অঙ্গনের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বরা। প্রিয় অভিনেতাকে হারিয়ে ব্যথার সাগরে ভাসছেন সৌমিত্রের ভক্তরা।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, যখন খুব কাছের মানুষ কেউ চলে যায়, তখন সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়। ঠিক যেমনটা জানে না, কী বলবে, কী করবে। আমার অবস্থাটা সেরকমই। ঠিক বুঝতে পারছি কী বলব এই মুহূর্তে, কীভাবে যে সামলাবো সেটাও বুঝতে পারছি না। মনটা অনেকদিন ধরেই খারাপ ছিল। তিনি অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। যখনই অসুস্থ হয়েছেন তখনই প্রার্থনা করেছি, যেন উনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান। এই লম্বা পরিসরে তিনি অনেকবার অসুস্থ হলেও বারবারই তিনি হাসি মুখে ফিরে এসেছেন। আমাদের কখনই নিরাশ করেননি। কিন্তু আজকে একেবারেই নিরাশ হয়ে গেলাম।

তিনি বলেন, ২৫-২৬ বছর আগে যখন প্রথম অভিনয় জগতে এলাম, সেই দিন থেকেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আদরের স্পর্শ পেয়েছি। এতো ভালোবাসা, এতো শিক্ষা- জানি না খুব অন্য কারো কাছে পেয়েছি কিনা। একটা বয়স থেকে আরেক বয়সে পৌঁছানো, আমি ছোট থেকে বড় এই দীর্ঘ সময় ধরে তাকে দেখেছি। এ যেন এক অদ্ভুত সম্পর্ক।

অভিনেত্রী আরো বলেন, আমার প্রথমে সেই নিউ কামার হিসেবে আসা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভয়ে ভয়ে অভিনয় করা। সেই সময় ‘শ্বেতপাথরের থালা’র পাশাপাশি ‘শেষ চিঠি’ বলে একটা ছবিতেও কাজ করেছিলাম। তনুজা আনটি এবং সৌমিত্র কাকার সঙ্গে কাজ করা এটা আমার অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। পরবর্তীতেও তার অনেক কাজ করেছি। পরে আমি সৌমিত্র কাকাকে বলেছি, ‘এতো হ্যান্ডসাম ম্যান’ আমি আমার লাইফে দেখিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন