ওসমানীনগরে আ.লীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা,, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

ওসমানীনগরে আ.লীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা,, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

শাহাজাদা বেলাল স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুর বাজারে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বাজারে দুই গ্রুপে সমর্থকদের মধ্যো ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

ধাওযা পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ঘন্টাব্যাপী মহাসড়কের উভয়পাশে দূরপাল্লার অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, গতকাল সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়ার গ্রুপের দুই কর্মীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সালমান ও ইকবালসহ কয়েকজন আহত হন। বিষয়টি সালিশে নিষ্পত্তি করা হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

ওই ঘটনার জের ধরে আব্দাল মিয়ার সমর্থকরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাজপুরের স্কুল রোডস্থ আনা মিয়ার সমর্থক তুরন মিয়ার দোকান ভাংচুর করে। এরপর আনা মিয়ার সমর্থকরা জড়ো হয়ে সৌরভ মার্কেটস্থ আব্দাল মিয়ার ব্যক্তিগত অফিসে ভাংচুর চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাজপুর বাজারের সেক্রেটারি সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক দোকান বন্ধ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে উভয়পক্ষকে ধাওয়া করেন। 

তাজপুর বাজারের সেক্রেটারি সোহেল মিয়া বলেন, ‘প্রায়ই তাজপুর বাজারে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। মঙ্গলবারের ঘটনায় বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার দাবিতে আমরা দোকান বন্ধ করে মহাসড়ক অবরোধ করেছি। পরে প্রশাসন থেকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। এটা উল্লেখ করার মতো কিছু না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া বলেন, ‘আমি এলাকায় না থাকায় ঘটনা সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। ঘটনাস্থলে গিয়ে সবকিছু জেনে তারপর মন্থব্য করব।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন