রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে রবিশস্য চাষে ব্যস্ত কৃষক

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে রবিশস্য চাষে ব্যস্ত কৃষক

মারুফা জামান, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদী এখন পানিশূন্য। জেগে উঠেছে চর। বর্ষা মৌসুমে তিস্তার রুদ্ররূপ ভুলে চরের বাসিন্দারা এখন তিস্তার বুকে ফসল ফলানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জাতের শীতকালীন ফসলের চাষ হচ্ছে চরে । ক্ষেতে সার দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার করা, পানি দেওয়া, ফসলের যত্ন নেওয়াসহ নানা কাজে সময় পার করছে চরের কৃষকেরা। জানা যায়, বর্ষাকাল এলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় চরাঞ্চলের মানুষ। নদী ভাঙনের শিকার হয় শত শত ঘরবাড়ি । মাছ ধরা, পশু পালন ও কৃষিকাজের উপরই নির্ভরশীল চরাঞ্চলের বেশির ভাগ পরিবার। বর্ষা শেষে তিস্তা তাদের কাছে আর্শীবাদ। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুকনো মৌসুমে ভালো ফসল ফলানোর সুযোগ নষ্ট করতে চায় না তারা।উপজেলার গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের ধামুর বাঁধেরপাড়, বোল্লারপাড়, গানজিয়া ও গান্নারপাড়, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের বুড়িডাংগি, শংকরদহ, চর ইচলি, চল্লিশসাল, জয়রাম ওঝা, বাগেরহাট, কাশিয়াবাড়ি, হজমপুর ও চর ছালাপাক গজঘন্টা ইউনিয়নের জয়দেব, রামদেব, কামদেব, ভাঙাগড়া, মহিষাশুর, তালপট্টি ও নরসিংহ, মর্ণেয়া  ইউনিয়নের আলাল চর ও চর মৌভাষা, কোলকোন্দ ইউনিয়নের উত্তর কোলকোন্দ মাস্টারপাড়ার চর, মীরপাড়ার চর, গ্রোয়েন বাঁধ, মিয়াজীপাড়া, শিঙ্গীমারী, সাউদপাড়ার চর, চিলাখাল চর, চর মটুকপুর, খলাইর চর, বিনবিনা ও শ্রীরাম, আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান জুম্মাপাড়া, হাজিপাড়া ও ব্যাঙপাড়া, নোহালি ইউনিয়নের বাগডোহরা, মিনার বাজার, চর নোহালী, বৈরাতী ও কচুয়াসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায় কৃষকরা আলু, মিষ্টি কুমড়া, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, সরিষা, কলাই, ধনিয়া, খিরা, লালশাক সহ বিভিন্ন জাতের সবজির চাষ শুরু করেছেন। সদর ইউনিয়নের গান্নারপাড় এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর ২ একর জমিতে আলু চাষ করেছেন তিনি। ক্ষেতে পাতা গজাচ্ছে। মাত্র ৭০ দিনে ঘরে আলু তোলা সম্ভব হবে। এতে তার খরচ হবে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। ফলন ভালো ও বাজারে দাম ভালো হলে বেশ লাভ হবে বলে আশাবাদী তিনি।একই এলাকার কৃষক বাবলু মিয়া ৯০ শতাংশ জমিতে রসুন লাগিয়েছেন। তিনি জানান, রসুন উঠানোর পরে একই জমিতে ভুট্টা বা বাদাম চাষ করবেন। এছাড়া ইরি ধানের চাষও করবেন তিনি । উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, বর্ষাকালে বন্যার পানিতে এখানকার বেশির ভাগ জায়গাই তলিয়ে যায়। ফলে প্রতিবছরই জমিতে পলিমাটি পড়ে। এ কারণে ফসল ভালো হয়। পরিচর্যা করলে নানা ধরনের ফসল ফলানো সম্ভব।

আপনি আরও পড়তে পারেন