‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ বিজয়ী সাদাতকে পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা

‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ বিজয়ী সাদাতকে পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা

ফরহাদ খান, নড়াইল

বাংলাদেশের গর্ব ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ প্রাপ্ত সাদাত রহমানকে নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাদাতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)। এ সময় সাদাত রহমানও পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়েছেন।  

সাদাত রহমান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নড়াইলের পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় ‘সাইবার টিনস’ অ্যাপের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রæত ধরতে এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়েছে। এ কাজে পুলিশ সুপারের আন্তরিকতা সহজে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় আমার এ সাফল্য এসেছে।  

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাদাতের বাবা সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, মাসুদ রানা ও শেখ ইমরানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

গত ১৩ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে ‘কিডস রাইটস’ এর উদ্যোগে সাদাত রহমানকে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই ভারচুয়াল ভাবে ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ তুলে দেন।

‘সাইবার অপরাধ’ থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে বিশ্বমঞ্চের তালিকাতে যুক্ত হয়েছেন ১৭ বছর বয়সী এই কিশোর। বন্ধুদের সহযোগিতায় ‘সাইবার টিনস’ মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে ‘সাইবার অপরাধ’ থেকে শিশুদের সুরক্ষায় ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর থেকে কাজ করে যাচ্ছে সাদাত রহমান।  

সাদাত জানায়, ‘কিডস রাইটস’ ভবিষ্যতে তার পড়ালেখার ব্যয়ভার গ্রহণ করেছে। এছাড়া ওয়ালটন কোম্পানি এ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছে। ইউনিভারসিটি অব প্রোফেশনালসের ভাইস-চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সরোয়ার হাসান ভবিষ্যতে সব ধরনের সযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

পারিবারিক ও বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, সাদাত রহমানের বাড়ি মাগুরা জেলা সদরের আলোকদিয়া গ্রামে। তার বাবা সাখাওয়াত হোসেন, মা মলিনা বেগম গৃহিণী। তার বাবা এক সময় নড়াইল জেলা ডাকঘরের প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন।

বর্তমানে কুষ্টিয়া ডাকঘরে কর্মরত। সাদাত রহমান নবম শ্রেণি থেকে নড়াইলে পড়ালেখা করছে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সাদাত রহমান বর্তমানে নড়াইলের আব্দুল হাই সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।

আপনি আরও পড়তে পারেন