নড়াইলের কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চাঁচুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফার রহমান মোল্যাকে(৬৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহতসহ দু’ হাত-পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে নড়াইল পৌর মেয়রের জানাযার নামাযে আসার পথে কালিয়া-নড়াইল সড়কের কালিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালিয়া উপজেলার বনগ্রামের বাসিন্দা লুৎফার রহমানের সাথে একই গ্রামের মুকুল মোল্যা ও টুটুল মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে লুৎফার রহমান কালিয়ার বনগ্রামের বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল যোগে নড়াইল পৌরসভার প্রয়াত মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের নামাজে জানাজায় অংশ নেয়ার জন্য নড়াইলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নড়াইল-কালিয়া সড়কের কালিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই গ্রামের মুকুল মোল্যা ও টুটুল মোল্যার নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে তার ওপর বেপরোয়াভাবে হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত ও দুই পায়ের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান লুৎফর রহমানের দু’হাত পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
![](https://ppbd.news/assets/gallery/2020/sobuj/Narail-Aleague.jpg)
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে গুরুতর জখম লুৎফর রহমানকে নড়াইল সদর হাসপাতালে দেখতে ছুটে যান নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি।
কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’