চরমোনাই পীর-মামুনুল সমর্থকদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ

চরমোনাই পীর-মামুনুল সমর্থকদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ

চরমোনাই পীর-মামুনুল সমর্থকদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর চরমোনাই পীর সৈয়দ ফয়জুল করীম এবং বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের অনুসারী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় মিছিলে লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বিক্ষোভে তারা ভাস্কর্যবিরোধী স্লোগান দেয়। পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মিছিল থেকে সাত-আট জনকে আটক করে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ভাস্কর্যবিরোধী এই মিছিলে বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগানও দেয়া হয়। তবে তারা কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। সেই সঙ্গে মিছিলে ছিল না কোনো ব্যানার কিংবা ফেস্টুন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন সম্প্রতি ফয়জুল করীম ও মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে এবং তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীরা বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ মিছিল করতে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের হামলা করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ বা মিছিল বের করতে আমাদের কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি চেয়ে থাকে। কিন্তু আজকে ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে যারা মিছিল বের করেছে তারা আগে থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়াই তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে মিছিল বের করে। আমরা থামিয়ে তাদের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সে বিষয়ে কোনও জবাব না দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন। পরে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই। এ সময় কথা বলার মতো তাদের পক্ষে কোনও নেতা ছিলেন না।’

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা (পুলিশ) তাদেরকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, অনুমতি ছাড়া তারা এটা করতে পারে না। কিন্তু তারা তখনও কোনো কথা না শুনে কাকরাইলের কর্ণফুলী মার্কেটের সামনে পর্যন্ত চলে আসে। এতে যানবাহন চলাচল থেমে যায়।

রমনা থানা পুলিশের এসআই মামুন বলেন, ‘তৌহিদী জনতার ওই মিছিল থেকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য সাত-আট জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন