বঙ্গবন্ধু দূরপাল্লার সাঁতারে প্রথম সেনাবাহিনী

বঙ্গবন্ধু দূরপাল্লার সাঁতারে প্রথম সেনাবাহিনী

মধুমতি নদীর দুই পাড় জুড়ে হাজার হাজার দর্শক। দৃষ্টি তাদের নদীর বুকে। সেখানে চলছে প্রতিযোগিতা। সেটা কোনো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা নয়। দুরন্ত সাতারুদের সাঁতার প্রতিযোগিতা। তা আবার দুই-চার বা পাঁচশ মিটারেরর প্রতিযোগিতা নয়।

মধুমতির শীতল পানিতে পাড়ি দিতে হবে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পথ। ১৪ জন প্রতিযোগী সাঁতার শুরু করে কংশুর প্রান্ত থেকে আর শেষ হয় হরিদাসপুর রেল ব্রিজের কাছে।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হল ১৭তম বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা। গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীতে আয়োজিত এবারের প্রতিযোগিতায় ছিল ভিন্ন আয়োজন, ভিন্ন মাত্রা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এবারের প্রতিযোগিতা। আর তাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল অন্যরকম এক উৎসাহ। 


এবারের দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পুরুষ ও নারী দুই বিভাগেই প্রথম স্থান অধিকার করে নিয়েছে তারা। 

সুইমিং ফেডারেশনের উদ্যোগে এবং নৌবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 

১৭তম বঙ্গবন্ধু দুরপাল্লা সাতার প্রতিযোগিতায় এবার আবহটা ভিন্ন। তবে সেখানে ঘাটতি ছিলো না প্রতিদ্বন্দ্বিতার। ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটে মধুমতির ৮ কিলোমিটার দূরত্ব সাঁতরে নারী বিভাগে প্রথম হওয়া সেনাবাহিনীর নাইমা আক্তারের কাছে অনুভূতিটার ভিন্ন রকম। প্রথম স্থান অধিকার করতে পারায় সাঁতারের কষ্টটাকে আর কষ্টই মনে হয়নি এমনটাই বললেন এই নারী সাতারু।

আর নাইমা আক্তারের এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ১ ঘণ্টা ১ মিনিট সময় নিয়ে তারই সহকর্মী মো. ফয়সাল জিতে নেন পুরুষ বিভাগের প্রথম স্থানটি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করতে পেরে নিজেকে গর্বিত ভাবছেন সেনাবাহিনীর এই সাঁতারু।

প্রতিযোগিতা শেষে সাতারুদের পুরষ্কৃত করা হয় গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি অডিটরিয়ামে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবানদের আকৃষ্ট করতেই এমন আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। 

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন নৌ-বাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতার সমাপনি ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান করতে পারায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। 

বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ সময় সংবাদকে বলেন, গোপালগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিভাবান সাঁতারুদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এবারের জাতীয় দূরপাল্লার সাঁতার প্রতিযোগিতা মধুমতি নদীতে আয়োজন করা হয়েছে।

এর আগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় দুরপাল্লা সাতার প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব। সেখান থেকে ১৪ জন সাতারু অংশ নেন ফাইনাল রাউন্ডে।

আপনি আরও পড়তে পারেন