এ এস আই স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, ন্যায় বিচারের শঙ্কা

এ এস আই স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, ন্যায় বিচারের শঙ্কা

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

এ এস আই স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়া আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার এক ভুক্তভোগী। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) স্বামী আল-হাসান তার পিতা-মাতা ও ভাই আদালতে আত্মসমার্পণ করে জামিন চাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক তারেক আহসান সকলের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ মামলার আসামি পুলিশের এ এস আই ও প্রভাবশালী হওয়ায় বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে মামলার রায়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন।

গত ১১/০৫/১১ ইং তারিখে রেজিঃ কৃত কাবিননামা মূলে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বগুড়া হাইওয়ে রিজিওনে কর্মরত পুলিশের এ এস  আই ও নীলফামারী সদর উপজেলার দুহুলী শান্তিনগর গ্রামের ইসমাঈল ওরফে ইসাহাক আলীর ছেলে আল-হাসানের সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

কিছুদিন স্বামীর সহিত সুখে শান্তিতে বসবাস করা কালীন সময়ে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। পিতা-মাতার কু-প্ররোচনায় হাসান বিবাহের যৌতুক বাবদ ৫ লক্ষ টাকার জন্য স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।

এমনকি গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে ১৮ জুন ১৯ ইং তারিখে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল -১ এর আদালতে ১১(খ)/৩০ ধারায় স্বামী আল-হাসান, শ্বশুর ইসমাঈল ওরফে ইছাহাক আলী, শাশুড়ী হাসিনা বেগম ও দেবার এন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৫৭/১৯।

দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে আদালত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাসান ও তার পিতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।গত ১২/০২/২০ ইং তারিখে অন্তর্বতী কালীন জামিনে মুক্তিলাভ করিয়া মোবাইলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। এ আবস্থায় সুষ্ঠু বিচার যাতে পেতে পারেন, সেজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন