রেখে গেছেন বিপুল সম্পত্তি, ম্যারাডোনার ‘সন্তান’ বলে দাবি যুবকের

রেখে গেছেন বিপুল সম্পত্তি, ম্যারাডোনার ‘সন্তান’ বলে দাবি যুবকের

ডিয়েগো ম্যারাডোনা চলে গেলেন। কিন্তু তার সঙ্গে সমস্ত বিতর্কও পিছু নেবে বলে যারা ভেবেছিলেন, তাদের ধারণা ভুল। সারা জীবনে ম্যারাডোনাকে জাপ্টে-জড়িয়ে ছিলো বিতর্ক। আর্জেন্টাইন তারকা কিন্তু বরাবর বেপরোয়া থেকেছেন। যেটা তার ভালো মনে হয়েছে, তিনি করেছেন। যেটা বলা উচিত বলে মনে হয়েছে, বলেছেন। এমনই সোজাসাপ্টা মানুষ ছিলেন তিনি।

কিন্তু ম্যারাডোনা চলে যাওয়ার পরও সেসব বিতর্কের যেন অবসান হলো না। বরং তাকে ঘিরে জটিলতা বাড়লো আরো বেশি।

৬০ বছর বয়সে মারা গেলেন ম্যারাডোনা। রেখে গিয়েছেন ৯০ মিলিয়ন ডলারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। সারা জীবনে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। খরচও করেছেন দু’হাতে। তবুও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি তিনি রেখে গিয়েছেন। আর সেই সম্পত্তি নিয়েই এবার যতো জটিলতা।

আসলে সারা জীবনে বহু সঙ্গীনীর সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন ম্যারাডোনা। তাদের মধ্যে অনেককে জীবিত অবস্থায় স্বীকৃতি দিয়ে গিয়েছেন। আর্থিক সুরক্ষা দিয়েছেন। তবে অনেককেই আবার তিনি স্বীকৃতি দেননি।

ম্যারাডোনার অবৈধ সন্তান বলে এবার নিজেকে দাবি করলেন জোস নুনেজ নামে ১৯ বছর বয়সী এক যুবক। তার দাবি, ম্যারাডোনার দেহ যেন কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। তা হলেই সব প্রমাণ হয়ে যাবে।

প্রথম স্ত্রী ক্লদিয়া ও দুই কন্যা দালমা ও গিয়ানিয়ার সঙ্গে ম্যারাডোনার প্রায়ই ঝগড়া ঝামেলা লেগে থাকতো। রাগ করে ম্যারাডোনা একবার বলেছিলেন, তিনি তার সব সম্পত্তি দান করে যাবেন। কাউকে এক টাকাও দেবেন না। যদিও পরে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয়েছিলো।

কিন্তু এখন ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তার সন্তান বলে নিজেকে দাবি করে বসেছেন নুনেজ। তবে তিনি জানিয়েছেন, ম্যারাডোনার ছেলে হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়াই তার কাছে আসল। সম্পত্তি নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।

অনেকেই হিসেব করে বলেন, দুই মেয়ে ছাড়া আরো দুই ছেলে ও তিন কন্যা রয়েছে ম্যারাডোনার। তবে আর্জেন্টিনায় অনেকেই ঠাট্টা করে বলেন, অবৈধ সন্তানদের নিয়ে ম্যারাডোনা ফুটবল দল গড়তে পারতেন। ফলে বুঝতেই পারছেন, ম্যারাডোনার সম্পত্তির ভাগভাগি এতো সহজে হবে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন