স্কোরলাইন ৪-০ হলে ভালো হতো: জেমি ডে

স্কোরলাইন ৪-০ হলে ভালো হতো: জেমি ডে

কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে করোনায় স্থগিত হওয়া বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলা আবারও শুরু হয়েছে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর)। কাতারের আবদুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগের ম্যাচে এদিন বাংলাদেশকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে কাতার। জোড়া গোল করেছেন আলমোয়েজ আলী ও আকরাম হাসান আফিফ। একটি গোল করেছেন আবদুল আজিজ হাতিম।

এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপ থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রইলো কাতার। আর ৫ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতেই বাংলাদেশ।

প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেই ১০টি সেভ দিয়েছেন জিকো। যে ৫টি গোল দিয়েছে কাতার, তাতে জিকোর দায় ছিলো খুব অল্পই। এমনকি পেনাল্টিতে করা কাতারের তৃতীয় গোলেও বলের লাইনেই ছিলেন তিনি। শটের অতিরক্তি গতির কারণে তার হাতে লেগেও বল চলে যায় জালে।

পুরো দলের পারফরম্যান্স খুব একটা আশা জাগানিয়া না হলেও, গোলরক্ষকের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। তবে তার মতে, স্কোরলাইন ৪-০ হলে ভালো হতো। অহেতুক পেনাল্টি না পেলে পাঁচটির বদলে কাতারের গোল হতো ৪টিই।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জেমি বলেন, আমি মনে করি, জিকোকে খেলিয়ে আমি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে চমৎকার কয়েকটা সেভ করেছে। (প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে) এটা তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সে অবিশ্বাস্য এবং বিশ্বমানের কিছু সেভ করেছে। তবে স্কোরলাইন ৪-০ হলে ভালো হতো।

এসময় নিজের শিষ্যদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ কোচ আরো বলেন, কাতার এশিয়ার সেরা দল। তারা চার মাস ধরে অনুশীলন করছে। আমরা অনুশীলন করেছি পাঁচ সপ্তাহ। আগের ম্যাচে তারা শক্তিশালী কোরিয়ার বিপক্ষে খেলে এসেছে। আমি মনে করি, তাদের বিপক্ষে ছেলেরা দারুণ খেলেছে।

তবে দুই দলের পার্থক্যের জায়গাটাও বুঝতে পেরেছেন জেমি। তার ভাষ্য, কাতারের মতো বলের নিয়ন্ত্রণ এবং টেকিনিক্যাল সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে ছেলেরা শতভাগ দিয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে কাতারের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন