আমদানি করা পুরনো শীতবস্ত্রের দাম বাড়ছে

আমদানি করা পুরনো শীতবস্ত্রের দাম বাড়ছে

করোনার কারণে চাহিদার বিপরীতে আমদানি কম হওয়ায় এবার শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুরনো কাপড়ের দাম। গত বছরের তুলনায় প্রতি গাঁটে দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।

ভ্যান গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে চট্টগ্রাম থেকে পুরনো শীত বস্ত্রের গাঁট চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বিশেষ করে গত কয়েকদিনে শীতের প্রকোপ বাড়ায় বাড়ছে শীত বস্ত্রের চাহিদা। কিন্তু দাম ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ৮ হাজার টাকা দামের জ্যাকেটের গাঁট বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার টাকায়।

পুরাতন বেবিস্যুট, জ্যাকেট, সোয়েটার, কম্বল, ট্যাকস্যুট আমদানি করে বাংলাদেশ। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের শীত বস্ত্রের চাহিদার ৮০ ভাগের বেশি পূরণ করা হয় আমদানি করা পুরনো কাপড় দিয়ে।

স্বাধীনতার পরপরই তাইওয়ান, জাপান এবং কোরিয়া থেকে যে শীতবস্ত্র আমদানি করা শুরু হয়েছিল এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। এবার নানা জটিলতায় শীতের প্রকোপের সঙ্গে বাড়ছে শীতবস্ত্রের দামও।

আর দাম বৃদ্ধির জন্য সরাসরি করোনাকে দায়ী করা হলেও নেপথ্যে কারণ ভিন্ন বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে আমদানিকারকদের লাইসেন্স জটিলতার পাশাপাশি রয়েছে জাহাজ ভাড়া তুলনামূলক বেড়ে যাওয়া।

এ প্রসঙ্গে মেসার্স রাশেদ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. রাশেদ আজগর বলেন, করোনার কারণে আমদানি বিলম্ব হয়েছে যেমন তেমনি সময় মতো দেশব্যাপী কাপড় সরবরাহ করাও সম্ভব হচ্ছে না।

আর আন্তর্জাতিক বাজারেই শীতের এসব পুরাতন কাপড়ের দাম বেশি পড়ছে তাই দেশেও গেলবারের তুলনায় দাম বেড়েছে বলে জানান মেসার্স মনজুর এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ মনজরুল আলম। 

প্রতি বছর শীত মৌসুম শুরুর অন্তত ৩ মাস আগে থেকে শুরু হয় পুরনো শীতের কাপড় আমদানি।  বছরে ১ হাজার কন্টেইনারের বেশি শীত বস্ত্র আমদানি হয়। কন্টেইনারের বেশি শীত বস্ত্র আমদানি হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন