হাজী সেলিমের ১৩ বছরের সাজা: আপিল শুনানি ১১ জানুয়ারি

হাজী সেলিমের ১৩ বছরের সাজা: আপিল শুনানি ১১ জানুয়ারি

ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এ সময় আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনির।

গত ১১ নভেম্বর হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছরের দণ্ডের মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ৮ ডিসেম্বর মামলার বিচারিক (নিম্ন) আদালতের এলসিআর হাইকোর্টে এসে পৌঁছায় বলে সাংবাদিকদের জানান দুদকের আইনজীবী। উচ্চ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত এসব নথি পাঠিয়েছেন বলেও জানান আইনজীবীরা।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, গত ৮ ডিসেম্বর মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসেছে। এরপর ৯ ডিসেম্বর হাজী সেলিমের আপিল আবেদনটি (কজলিস্ট) কার্যতালিকায় ওঠে। কিন্তু শাখা থেকে নথি আদালতে না আসায় শুনানি হয়নি। আজ নির্ধারিত দিনে এ বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক করা হয়।

গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ নথি তলব করেন। আদালতে ওইদিন দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

পরে চলতি বছরের ৯ নভেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, ৮ নভেম্বর তিনি দুদক থেকে এ মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। পরদিন ৯ নভেম্বর সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত করতে তিনি আদালতে আবেদন (মেনশন) করেন। এরপর আপিলটি কার্যতালিকাভুক্ত হওয়ার পর ১১ নভেম্বর নথি তলব করেন হাইকোর্ট।

আপনি আরও পড়তে পারেন