নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ ঃ
পৌষের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। কয়েক
দিনের তীব্র শীতে উপজেলার মধ্যবৃত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ।
প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত
হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধজনেরা। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা-১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা
থাকছে চারদিক।
তবুও উপজেলায় আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে কৃষকরা, উপজেলার
২ টি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নের প্রায় সব কৃষক তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে জমি
প্রস্তুতের কাজ করছেন। কৃষক মোক্তার হোসেন বলেন, শীত একটু বেশি। সাথে আছে ঘন কুয়াশা।
কিন্তু কি আর করা ঘরের খাবারের ব্যবস্থা তো করতে হবে। তা না হলে বউ পোলাপান নিয়ে কি খাব?
জমি চাষাবাদের মাধ্যমেই সারা বছরের খাবার তৈরি করতে হয়। তাই শীতে ঘরে বসে থাকলে তো
আর কেউ ঘরে খাবার দিয়ে যাবে না। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক লোকমান হোসেন
বলেন, এবার শীত ও কুয়াশা বেশি।
কিন্তু এখানে এ বছর জমি কম। হাউজিং কোম্পানীগুলো কৃষি
জমি বালি দিয়ে ভরাট করে ফেলছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কায়ছুন নাহার হাওলাদার বলেন,
আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষের
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমাদের কৃষি অফিসাররা মাঠ পর্যায়ে রয়েছেন। কৃষকদের বিভিন্ন
পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।