দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে দুই কিশোরী বান্ধবী ধর্ষণের শিকার।

দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে দুই কিশোরী বান্ধবী ধর্ষণের শিকার।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি মোঃ সিরাজুল ইসলাম। 


দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে  দুই কিশোরী বান্ধবী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মঙ্গলবার রাতে একটি ধর্ষন এবং একটি ধর্ষন চেষ্টার মামলা দায়ের হয়। 


পুলিশ এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া হোসেন মন্ডল পাড়ার ইসলাম প্রামাণিকের ছেলে জীবন প্রামানিক (২৮), একই গ্রামের মোহন মন্ডলের ছেলে ইউসুফ মন্ডল (২৭) এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার গুলপালদি মোল্লা পাড়ার মালেক মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা (২৮)।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে , যৌন নির্যাতনের শিকার দুই বান্ধবী ফরিদপুরের একটি সেফ হোমে থেকে ৫ম শ্রেনীতে পড়ালেখা করে।মাঝে মধ্যে তারা দৌলতদিয়ার পল্লীতে তাদের মায়েদের কাছে বেড়াতে আসে।


গত ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার  বেলা সোয়া ৩ টার দিকে তারা পল্লীর একটি দোকান থেকে আচার কিনে নিজেদের মায়েদের ঘরে ফিরছিল। পথে পল্লীর খিচুড়ী পট্টির টোকাই মােল্লার বাড়ীর সামনে আসামীরা তাদের গতিরোধ করে। এ সময়  উল্লেখিত ৩ যুবক জীবন মোল্লা,  ইউসূফ মন্ডল ও সােহেল মোল্লা তাদেরকে জোর করে  টোকাই মােল্লার ফাঁকা বাড়ীর ভেতরে নিয়ে যায়।


সেখানে জীবন প্রামানিক একটি কিশোরীকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অপর কিশোরীকে একটি কক্ষে নিয়ে ইউসুফ ও সোহেল ধর্ষনের চেষ্টা চালায় । এ সময় কিশোরীদ্বয়ের  চিৎকারে স্থানীয় লােকজন উক্ত বাড়ীর মধ্যে যায় ।
এ সময়  দৌড়ে পালানাের চেষ্টাকালে লােকজন উপরােক্ত বিবাদীদের আটক করে।পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে আসামিদের হেফাজতে নেয় এবং কিশোরীদের উদ্ধার করে।


এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, উপরোক্ত ঘটনায় এক কিশোরীর যৌনকর্মী মা এবং অপর কিশোরীর মামা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিশোরদের স্বাস্থ্য পরিক্ষারও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন