টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের বনে অবৈধ সিসা কারখানা

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের বনে অবৈধ সিসা কারখানা

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি সৈয়দ মিঠুন: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের মালিরচালা এলাকায় বনের ভেতর গড়ে তোলা হয়েছে পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বন, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।


এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৩/৪ মাস আগে মালিরচালা আমবাগান এলাকার বনের ভেতর কারখানাটি স্থাপন করা হয়। নিজাম ভূইয়ার পতিত জমি মাসিক ৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে কারখানাটি স্থাপন করে গাইবান্ধা জেলার তানভীর মিয়া। কারখানায় ১০/১২ জন শ্রমিক রয়েছে। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা, পঞ্চগড় ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটাইল-সাগরদিঘী পাকা সড়ক থেকে মাত্র দুই শ গজ উত্তরে বনের ভেতর টিন ও মোটা পলিথিনের বেষ্টনি দিয়ে কারখানাটি তৈরি করা হয়েছে। বেষ্টনির ভেতর গর্ত করে মাটির চুলার মতো চুল্লি বানানো হয়েছে।
কারখানাটিতে পুরনো ব্যাটারি গলিয়ে অবৈধভাবে সিসা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও এ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানায়, তারা কিছুদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে গেছে।

 মালিরচালা গ্রামের হামেদ আলী, ফরমান আলী জানান, শ্রমিকরা সারাদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরনো ব্যাটারি সংগ্রহ করে কারখানায় নিয়ে আসে। রাতের বেলায় সংগৃহীত ব্যাটারি মাটির তৈরি চুল্লিতে দিয়ে গলিয়ে সিসা বের করে তা বিক্রির জন্য প্রস্তত করা হয়। পরে ভোর হওয়ার আগেই বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত সিসা নির্ধারিত স্থানে পৌছে দেন কারখানার মালিকরা।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান খান বলেন, ব্যাটারির বর্জ্য পুড়িয়ে সিসা তৈরির সময় নির্গত রাসায়নিক দ্রব্য মানুষের শরীরে প্রবেশ করে রক্তকণিকা ও মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে মানসিক বিকৃতি, রক্তশূন্যতা ও মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। অতিদ্রুত অবৈধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন