টাঙ্গাইলে জমে উঠেছে পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজার বেশ জমে উঠেছে

টাঙ্গাইলে জমে উঠেছে পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজার বেশ জমে উঠেছে

মোঃ আল-আমিন শেখ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:-


শীতের শুরুতেই টাঙ্গাইলের জেলা সদর ও কোর্টপাড়া এলাকায় পুরাতন শীত বস্ত্রের বাজার বেশ জমে উঠেছে। নিন্ম ও মধ্যবিত্তরা শীতের কাপড়ের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ওইসব বাজারে ভির জমাচ্ছেন। সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে গড়ে উঠা ওইসব দোকানগুলোতে প্রতিবছর শীতের মৌসুমে দেশী-বিদেশী পুরাতন শীত বস্ত্রের বাজার বসে। কম দামে শীত বস্ত্র পাওয়ার আশায় নিন্ম ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা ছুটে আসেন। এ মার্কেটটি মূলত গরীবের মার্কেট হিসেবেই পরিচিত।

টাঙ্গাইলের বেশ কয়েকটি পুরাতন শীতের কাপড়ের বাজার ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সরকারি পরিত্যক্ত জায়গায় ও কোর্ট চত্ত¡র এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক অস্থায়ী দোকান বসেছে। প্রতিটি দোকানই শীতের ছোঁয়া লাগার সাথে সাথেই জমে ওঠেছে কেনাকাটা। প্রতিদিন এক একটি দোকানে ৭-৮ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। উচ্চ আয়ের মানুষেরা বিভিন্ন নামিদামি মার্কেট থেকে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় কিনতে পারলেও গরীব ও নিন্ম আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা টাঙ্গাইল কোর্ট চত্ত¡র ও জেলা সদরের হকারদের বিক্রি করা পুরাতন শীত বস্ত্রের মার্কেট।

সখীপুর থেকে আসা ক্রেতা গৃহবধূ মিতু আক্তার,  নাগরপুরের  রহিমা আক্তার, ধনবাড়ীর আমজাদ, ঘাটাইলের সোহাগ , টাঙ্গাইল পৌরসভার বানিজসহ কথা হয় আরো অনেক ক্রেতার সঙ্গে তাঁরা নিউজ টাঙ্গাইলকে জানান, মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য তারা। সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের শীত নিবারণ ও ঘরে পড়ার জন্য অল্প দামে গরম কাপড় কিনতে এসেছেন, কিন্তু যে দাম দেখছেন তাতে এ মার্কেটেও তাদের কেনাকাটা অসম্ভব হয়ে ওঠছে। গত বছর যে কাপড় ৮০-৯০ টাকা দাম ছিল এ বছর তা কিনতে ১৫০-২০০ টাকা লাগছে। শীত নিবারণের জন্য বাধ্য হয়েই তাঁরা চড়া দামে এসব কাপড় কিনছেন।
বিক্রেতারা জানান,  শীত বেশি থাকায় গত বছরের তুলনায়  এ বছর পুরাতন কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি ।

পুরাতন কাপড়ের বেল ভাঙার পর কাপড়গুলোর একটা গড় মূল্য ধরে আমরা বিক্রি শুরু করি। আগের চেয়ে দাম একটু বেশি হলেও নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন অল্প টাকায় শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন বাজারে।

টাঙ্গাইল জেলা হকার্স লীগের সভাপতি মো. বাদশা মিয়া  নিউজ টাঙ্গাইলকে বলেন, সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান করে জেলার সাধারণ মানুষের সেবার পাশাপাশি নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন তারা।  জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের উচ্ছেদ না করার দাবি জানান তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন