কক্সবাজার :: জেলা প্রতিনিধি
আসালামু আলাইকুম,
আমি সালাহ উদ্দিন কাদের, পিতাঃ ওয়াজ উদ্দিন, মাতাঃ আনোয়ারা বেগম, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম- কুতুব নগর পাড়া, ব্লক নং-০২, ওয়ার্ড নং-০২, ইউনিয়ন-বদরখালী, উপজেলা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার। আমি বর্তমানে বদরখালী পাবলিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক, সভাপতি চকরিয়া বির্তক সংসদ ও সাবেক ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ সূত্রে জানতে পারি যে, বিগত ০২ ডিসেম্বর২০২০ইং তারিখ বদরখালীর একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার মামলা হয় এবং উক্ত মামলায় আমাকে ৭নং আসামী করা হয়।মামলা নং –জিআর ৪৯১/২০ । চকরিয়া থানায় যোগাযোগ করে মামলার কপি সংগ্রহ করে; আমাকে যে আসামী করা হয়েছে তার সত্যতা পাই।
কি কারণে, কার সাথে, কোথায় ঘটনাটি হয়েছে তা খবরাখবর নিয়ে জানতে পারি যে বিগত ২৯ নভেম্বর২০২০ইং আমার গ্রাম কুতুবনগর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ০১ নং ব্লকের চৌধুরী পাড়ার জাকের হোসেনের বাড়ীতে একই ব্লকের মগনামা পাড়ার মিজানুর রহমানের পরিবারের সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে বিবাদ ঝগড়া হয়েছে। এতে উভয় পরিবারের হতাহতের কথা শুনেছি।
উল্লেখ্য যে, আমি বদরখালীতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করা তথা ২০১৮ইং পর্যন্ত এলাকার বাহিরে ছিলাম। যার দরুন আমি উক্ত মামলার বাদী এবং যারা আহত হয়েছে র্মমে জানতে পারি তাদেরকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনিনা এবং তাদের সাথে আমার কোন প্রকার বিবাদ বা বিরোধ নেই।
তা সত্ত্বেও আমাকে উক্ত মামলায় কেন বা কি কারণে আসামী করা হয়েছে জানিনা। মামলার বর্ণনায় বলা হয়েছে আমি ৭ নং আসামী হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ৩নং সাক্ষী ও জখমী তৌহিদুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বজোরে বারি মারি যার ফলে তার বাম কাধে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। মামলার এজাহারে আরোও বলা হয় যে, আমি ৭নং আসামী হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে ৫নং স্বাক্ষী ও যখমী শাহিনুর আক্তারকেও আঘাত করি যার ফলে তার ফুলা-যখম হয়।
বাস্তবতা হলো আমি সালাহ উদ্দিন কাদের ঘটনার দিন বদরখালীতে ছিলাম না। ঘটনায় জড়িত উভয়ের সাথে আমার কোন সখ্যতাও নাই আবার কোন প্রকার বিরোধও নাই। আমাকে যে আসামী করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক ও সামাজিকভাবে হেনেস্তা করার লক্ষ্যে। আমি এহেন মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সে সাথে প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করছি যে, ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত করে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা হোক।
পরিশেষে সকলরে সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিচ্ছি, আল্লাহ হাফেজ। আসালামুআলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।