নরসিংদীতে মালিকদের অবৈধ সিন্ডিকেটের কারণে বেকার ৯ হাজার অসহায় শ্রমিক

নরসিংদীতে মালিকদের অবৈধ সিন্ডিকেটের কারণে বেকার ৯ হাজার অসহায় শ্রমিক

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:


নরসিংদী সদর উপজেলার চৌয়ালা এলাকায় প্রায় ৯’শত শিল্প কারখানা মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে আপাতত বন্ধ। এতে করে বিপাকে পড়েছে প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক। এ বিষয়ে আজ চৌয়ালা এলাকা পরিদর্শন করতে গেলে সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্রকে শ্রমিক নেতা শরীফ জানান, হঠাৎ সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মালিকরা সিন্ডিকেট করে মিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এতে আমরা সাধারণ শ্রমিক খুবই বিপাকে পড়ে গেছি। কারণ আমরা “দিন এনে দিন খায়”। আমাদের মাথার উপর এই চাকুরী বাদে তেমন কোন বাড়তি আয় নেই। তাই এই চাকুরীই আমাদের একমাত্র সম্বল।

বিগত সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শ্রমিকদের রক্ষা করতে কারখানাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। তাই আমাদের শ্রমিকদের ঐ ক্ষতির রেশ কাঁটতে না কাঁটতেই হঠাৎ বর্তমান সময়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ।

অথচ শ্রমিকদের আক্ষেপ, উল্টোদিকে আরেক সংগঠন পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকায় পাওয়ারলুমসহ কারাখানাগুলো দিন রাত ২৪ ঘন্টা চলছে। অথচ মাঞ্জু মিয়ার নেতৃত্বে যে কারখানাগুলো পরিচালিত হচ্ছে সেগুলো আপাতত বন্ধ রয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে নিরীহ ৯ হাজার শ্রমিকদের উপর।

এ বিষয়ে সংবাদ কর্মী রুদ্র চৌয়ালা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মাঞ্জু মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুতার দাম বাড়তি হওয়ায় এবং কাপড়েরর দাম কম হওয়ায় আমরা মালিকরা একত্রিত হয়ে কারখানা বন্ধ করার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এক শ্রেণীর সিন্ডিকেটের কাছে আমরা মালিকপক্ষ জিম্মি। তাই আমাদের বাধ্য কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

কারখানার শ্রমিক সংহতির নেতারা বলেন, আপাতত মালিকদের সিদ্ধান্তের কারণে কারখানা বন্ধ হওয়ায় আমরা প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছি। এতে করে সাময়িকভাবে অর্থনীতির ওপর অবশ্যই চাপ পড়বে। যা দেশ ও আমাদের জন্য ক্ষতি। তাই প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের এই বিষয়টি তদন্ত করে কারখানার এই অবৈধ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আপনি আরও পড়তে পারেন