মির্জাপুরে শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিনে স্কুলে-স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণ

মির্জাপুরে শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিনে স্কুলে-স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নতুন শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিনে স্কুলে-স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ১৭০ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৪ মাধ্যমিক স্কুল ও ১৪ মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়।


আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের মির্জাপুর এস কে পাইলট মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরন অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আবদুল মালেক।

এ সময় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদ, বিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবু প্রফুল্ল কুমার সরকারসহ শিক্ষক ও অভিভাবকগন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাইমহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুষ্টকামুরী আলহাজ¦ শফিউদ্দিন মিঞা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পুষ্টকামুরী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই দেওয়া হয়েছে। এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুরে নতুন শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিনে হাতে বই পাচ্ছে না প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিনে হাতে বই না পেয়ে বিপাকে পরেছেন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক মন্ডলী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা শিক্ষা জানায়, দেশ ব্যাপি করোনার কারনে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বিভিন্ন বুক কোম্পানী সব বই ছাপাতে না পেরে জেলা, উপজেলা এবং মাঠ পর্যায়ে বই সরবরাহ করতে পারেনি। ফলে বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই দেওয়া যাচ্ছে না।

মির্জাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। নতুন শিক্ষা বর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক ও শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত বইয়ের চাহিদা ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত কিছু সংখ্যক বই শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া গেছে। এসব বই বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। প্রায় তিন লাখ বইয়ের চাহিদার মধ্যে বই পাওয়া গেছে ৫০-৬০ হাজার। যে বই পাওয়া গেছে আজ শুক্রবার ও পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদেও হাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তুলে দেওয়া হবে। বই না পেয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগন চিন্তিত হয়ে পরেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, মির্জাপুর উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা মিলে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষা বর্ষে বইয়ের চাহিদা ছিল প্রায় ৫ লাখ। মন্ত্রনালয় থেকে এ পর্যন্ত ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর কিছু বই পাওয়া গেছে। অন্য ক্লাসের কোন বই এখ পর্যন্ত আসেনি। যে গুলো পাওয়া গেছে সেব বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর হাতে নতুন শিক্ষা বর্ষে বই হাতে দেওয়া যাচ্ছে না।

মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক বলেন, প্রতি বছর শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিনেই সারা দেশে উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পেয়ে আসছে। এ বছর চিত্র হয়েছে ভিন্ন।

সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রনালয় নির্ধারিত সময়ে বই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত গত মার্চ মাস থেকে দেশ ব্যাপি (কোভিট-১৯)-করোনার কারনে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বুক কোম্পানীগুলো নির্ধারিত সময়ে বই ছাপাতে পারেননি। ফলে শিক্ষার্থীদের হাতে নির্ধারিত সময়ে বই দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু মির্জাপুর নয়, সারা দেশের চিত্র একই। পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষার্থীর হাতে সরকার বই তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন