যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান সাংসদ কন্যা ডরিন

যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান সাংসদ কন্যা ডরিন

রিয়াজ মোল্যা, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ  

মানুষ মানুষের জন্য, একটু সহানুভূতি মানুষ কি পেতে পারে না। মানুষের বিপদে পাশে থাকার নামই মানবধর্ম। একজন আরেকজনের সমস্যা-সংকটে ছুটে এসে সাহায্য করবে এমনটা সবাই প্রত্যাশা করে।

আমাদের সবারই সুযোগ রয়েছে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গড়ে তোলার। আমি, আপনি এভাবেই এগিয়ে আসতে পারি সবার বিপদে। দাঁড়াতে পারি মানুষের পাশে। তাছাড়া আমরা কিসের মানুষ।

এদেশে এখনো এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যারা অতি অল্প বয়সে অল্প সময়ে মানবসেবায় যথেষ্ট আন্তরিক। আল্লাহর সৃষ্টির সেবাকেই তারা পরম ধর্ম বলে বিশ্বাস করেন।

ঠিক তেমনি একটি ছোট্ট মেয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এমপির ছোট কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন (২০)। মাতা শেফালী খাতুন। ডরিন পড়াশোনা করে লন্ডন ইউনিভার্সিটির আন্ডারে ঢাকার ধানমন্ডির ভূইয়ান একাডেমি ব্রিটিশ ”ল” কলেজে। পড়াশোনার জন্য থাকতে হয় ঢাকাতে।

ডরিন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক। সে তার বাবার মতো মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছে। ছুটি পেলেই দেরী না করে চলে আসে নিজ এলাকায়।

উদ্দেশ্য ছাত্রলীগের সংগঠনকে সু-সংগঠিত করা এবং অসহায় ছিন্নমূল মানুষের ঘরে ঘরে যেয়ে তাদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং সাহায্য করা। তাকে প্রায়ই দেখা যায়, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে তার বাবার নির্বাচনী (ঝিনাইদহ-৪) এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলে যেয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা-কর্মিদের সাথে মতবিনিময় করা সহ ঐ এলাকার অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে বস্ত্র, শীত বস্ত্র এবং খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া।

দেখা যায় সে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসষ্ট্যান্ড সহ সারা পৌর এলাকায় ভ্যানে করে নিজে হাতে অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সবজি বিতরন করতে, আবার কখনও দেখা যায় প্যাকেট করা খাদ্য বিতরন করতে, হাড়ি ভর্তি রান্না করা খাবার করে ভ্যানে করে শহরে ও গ্রাম-গঞ্জে পথ শিশুসহ অসহায়দের হাতে খাবার তুলে দিতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের চারা রোপন ও বিতরন করতেও দেখা গেছে তাকে।

করোনা মোকাবেলায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করতে দেখা গেছে প্রতিনিয়ত এবং সেটা এখনও অব্যাহত রেখেছে। এই শীতে বাড়ি বাড়ি যেয়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

সেটা হোক দিন অথবা রাত। ডরিনের এসব অর্থ তার বাবা-মায়ের দেওয়া পড়ার খরচ থেকে দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চয় করা টাকা থেকে অসহায় মানুষের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরন করে। জনহিতকর কাজের পাশাপাশি কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সংগঠন যাতে দূর্বল না হয়ে পড়ে তার জন্য দিন-রাত সাংগঠনিক কাজ করে যাচ্ছে অতি দক্ষতার সাথে।

ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের সকল স্থরের নেতা-কর্মীদের মধ্যকার ভূল বোঝাবুঝি, মনমালিন্য, মতদ্বন্দ, মতভেদ নিরসন করে একই প্লটফর্মে দাড় করাতে সক্ষম হয়েছে। মাঝে মধ্যে ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করার জন্য নিজের টাকায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করে পিকনিকের।

তার এই সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা দেখে অনেকে বলেন যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। সাংগঠনিক কোন জটিলতা আসলে সে সিনিয়র নেতাদের সাথে পরামর্শ করে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করে থাকে। তার এমন কর্ম দক্ষতা দেখে ছাত্রলীগের ছোট বড় সবাই তাকে ডরিন আপু বলেই ডাকে।          


ডরিনের এমন জনকল্যানকর কাজ দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই তাকে ধন্যবাদ দিয়ে লিখেন, আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে কত অসহায় মানুষ অসুস্থ হয়ে কোথায় কীভাবে অনাহারে অর্ধাহারে পড়ে আছে আমরা কোনোদিনও লক্ষ্য করি না।

কিন্তু আমাদের এই ছোট্ট মেয়েটি প্রতিনিয়ত রাত-বিরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে এসব মানুষদের সাহয্যের পাশাপশি নিজ হাতে খাবার খাইয়ে থাকে। আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে মানবতা কাকে বলে। ডরিনকে মানুষের মতো হয়ে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নৈতিকতার দৃষ্টান্তের জন্য আমরা স্যালুট করি।

ডরিন এই অল্প বয়সে অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ-৪ তথা কালীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় এই সাংসদ কন্যা বহগুনে গুনান্মিত একটি মেয়ে হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।এক সৌজন্য সাক্ষাতে ডরিন জানায়, আমি আমার বাবার আদর্শ বুকে ধারন করে মানবসেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। আমি রাজনীতি করি অসহায় মানুষের জন্য, আমি রাজনীতি করি গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য, সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মৃত্যুর স্বাদ প্রতিটি মানুষকে নিতেই হবে সেটা আজ বা কাল।

 সে আরো জানায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমার বাবা ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা আনোয়ারুল আজীম আনার এমপির নির্দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সামিল হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

আসলে সকলেরই সুযোগ কিংবা ভাগ্য হয়না অসহায় মানুষের সেবা করতে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাকে  সেই তৌফিক দিয়েছে বলেই আমি অসহায়দের পাশে দাড়াতে পেরেছি ।তার বাবা পরপর দুই বারের এমপি। তারা সব সময় অসহায় মানুষ ও নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এবং এখনও আছেন। ঝিনাইদহ-৪ এর মানুষের ভালবাসা জন্য জনগনের সেবা করেন, আপনারা সবাই বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।

ঝিনাইদহ-৪ এলাকায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সুন্দর ভাবে পালন করা হয়েছে।জননেত্রী নারীদের অধিকার মুল্যায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। কোন দেশই নারীদের এত মুল্যায়ন করে না। বর্তমানে জননেত্রীর নের্তৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।

জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনায় বলেছেন এদেশের মানুষ না খেয়ে মরবেনা, ঠিক তেমনি ঝিনাইদহ-৪ আসনের মানুষ গুলো না খেয়ে মরবেনা, কেউ শীতে কষ্ট করবে না আমরা অসহায়দের পাশে আছি এবং থাকবো।

আমি আমার সাধ্যমত মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সম্মিলিত ভাবে মহামারি সহ সকল সমস্যা মোকাবেলা করবো একসাথে। কথায় আছে দশের লাঠি একের বুঝা ।যে কোন পরিস্থির অবনতি হলে সকলে মিলে মিশেই কাজ করে যেতে হবে এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে, এদেশ এগিয়ে যাবে।

এদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ তাই এদেশের মানুষের পাশে আছেন আজকের সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সব কিছু মোকাবেলা করেন।

আপনারা সকলেই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন সকল সমস্যা সমাধানে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। সবশেষে আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাচ্ছি, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার বাবার মতো মানবসেবায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারি।

আপনি আরও পড়তে পারেন