আমাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরাসরি জানান জেফ বেজসকে

জেফ বেজস, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ২০১৭ সালে তিনি বিশ্বে প্রথম ১০ হাজার কোটি ডলারের মালিক হন। মহামারির মধ্যেও যার আয় কোটি কোটি ডলার। এটা কীভাবে সম্ভব? ভাগ্য ফিরেছে নিজের তৈরি করা প্রতিষ্ঠান আমাজন দিয়ে। তার অন্য আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। ওয়াশিংটন পোস্টে জানা যায়, আমাজনের খাবারের ব্যবসা, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু অরিজিনসহ তালিকা অনেক দীর্ঘ। কিন্তু এখনকার বেজসের সঙ্গে আগের বেজসের কোনো মিল নেই। গ্রাহকদের জন্য বরাবরই তার ভালোবাসা কাজ করে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ আছে। পৃথিবী রক্ষায় অবশ্য তার ভালো সুনাম আছে। প্রতিদ্বন্দ্বী সিলিকন ভ্যালির ইলন মাস্কের মতো বেজসও মহাকাশ গবেষণায় বিনিয়োগে মন দিয়েছেন। বেজস সম্পর্কে অনেক কিছুই আমাদের জানা উচিত। ছোটবেলায় মেধাবী ছিলেন তিনি। মাত্র তিন বছর বয়সে বেজস জেনে ফেলেন কীভাবে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কোনোকিছু খুলতে বা লাগাতে হয়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সবকিছু খুব অল্প বয়সে শিখে ফেলেছিলেন তিনি। ছোট ভাইবোনদের নিজের রুম থেকে দূরে রাখতে বানিয়েছিলেন অ্যালার্ম ঘড়ি। মাত্র ১০ বছর বয়সে বেজস তার দাদিকে কাঁদিয়ে ফেলেন এটা বলে, যে দাদি সিগারেট খেয়ে কত বছর আয়ু কমিয়েছেন। তখন তার দাদি তাকে কাছে টেনে বলেন, বেজস তুমি খুব শিগগির বুঝতে পারবে চতুর হওয়া সহজ, কিন্তু দয়ালু হওয়া সহজ নয়। বেজস দয়ালুর চেয়ে চতুর বেশি, মানুষ এই পরিচয়েই তাকে চেনে; যা আমাজনের উন্নতি দেখলে সহজেই অনুমান করা যায়। প্রথমে তিনি আমাজনে কর্মী নিয়োগ দিতেন পরীক্ষার নম্বর বিবেচনা করে। ধীরে ধীরে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় নম্বরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেন। মেধাবীরা টিকে গেল, কম নম্বর যারা পেলেন, পিছিয়ে গেলেন। আমাজনের কর্মীদের এমনও অভিযোগ আছে যে, তারা টয়লেট যাওয়ার জন্যও খুব কম সময় পান। ইলেক্ট্রনিক মনিটরগুলো সবসময় কর্মীদের দিকে নজর রাখে, তারা কী পরিমাণ বক্স প্যাকেজিং করছে, সেটির হিসাব রাখে। কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে আমাজন। আরও পড়ুন: জনীর স্বপ্ন উড়ল আকাশে আমাজনের জন্য তার কাজের ধরন সবসময় ভিন্ন ছিল। ১৯৯৪ সালে নিজের গ্যারেজে বইয়ের দোকান দেন তিনি। বিনিয়োগকারীদের বলেও দেন এই প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ। এরপর থেকে তিনি অনেক নিয়মনীতি তৈরি করেন। আমাজনে পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার করা যায় না, এটা ব্যান। সবকিছু হাতে লিখেই বোঝাতে হবে। বড় টিম বেজস পছন্দ করেন না। তিনি বলেন, কোন টিম এত ছোট হওয়া উচিত, যে টিমের সদস্যদের খাওয়াতে হলে দুটি পিৎজাই যথেষ্ট। তবে আমাজনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক, গ্রাহকদের ব্যাপারে এরা বেশ সচেতন। গ্রাহকদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বেজস পছন্দ করেন। এমনকি কারো কোনো সমস্যা হলে সরাসরি বেজসকে মেইলও করতে পারেন। এ জন্য তিনি তার ইমেইল Jeff@Amazon.com. দিয়ে রেখেছেন। তিনি তার কোনো সহকর্মীকে মেইলটি ফরোয়ার্ড করে দেন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে বলেন। অফিসেও কর্মীরা একে অন্যের কাজের মূল্যায়ন করে, সমালোচনা করে। অনেক রাজনীতিবিদ তার সমালোচনা করেছেন, কিছুই তিনি কানে তোলেননি। ট্রাম্প বলেন, বেজস নাকি কর ফাঁকি দেন। তখন আমাজনের শেয়ারের দাম কমে বেজসেরও লোকসান হয়। তার বিরুদ্ধে কর্মীদের কম বেতন দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। বেজসের অপবাদ গায়ে লাগে, সঙ্গে সঙ্গে কর্মীদের বেতন ১৫ ডলার বাড়িয়ে দেন। একদিনের মধ্যে একটি দাতব্য সংস্থায় ২০০ কোটি ডলার দান করেন বেজস। এ সংস্থা তার প্রাক্তন স্ত্রীর। মহাকাশ নিয়েও তার মহাপরিকল্পনা। প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলার করে বিনিয়োগ করছেন ‘ব্লু অরিজিনে’। স্কুলজীবন থেকে মানুষের পরিকল্পনা বেজসের। ইচ্ছা, সৌরজগতে পাড়ি জমাবে মানুষ। ইলন মাস্কের মতো তিনিও রকেট বানাচ্ছেন। তবে ইলন মাস্কের মতো দ্রুত কিছুই করত পারছেন না।

জেফ বেজস, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ২০১৭ সালে তিনি বিশ্বে প্রথম ১০ হাজার কোটি ডলারের মালিক হন। মহামারির মধ্যেও যার আয় কোটি কোটি ডলার। এটা কীভাবে সম্ভব? ভাগ্য ফিরেছে নিজের তৈরি করা প্রতিষ্ঠান আমাজন দিয়ে। তার অন্য আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। ওয়াশিংটন পোস্টে জানা যায়, আমাজনের খাবারের ব্যবসা, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু অরিজিনসহ তালিকা অনেক দীর্ঘ। কিন্তু এখনকার বেজসের সঙ্গে আগের বেজসের কোনো মিল নেই। গ্রাহকদের জন্য বরাবরই তার ভালোবাসা কাজ করে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ আছে।

পৃথিবী রক্ষায় অবশ্য তার ভালো সুনাম আছে। প্রতিদ্বন্দ্বী সিলিকন ভ্যালির ইলন মাস্কের মতো বেজসও মহাকাশ গবেষণায় বিনিয়োগে মন দিয়েছেন। বেজস সম্পর্কে অনেক কিছুই আমাদের জানা উচিত। ছোটবেলায় মেধাবী ছিলেন তিনি। মাত্র তিন বছর বয়সে বেজস জেনে ফেলেন কীভাবে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কোনোকিছু খুলতে বা লাগাতে হয়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সবকিছু খুব অল্প বয়সে শিখে ফেলেছিলেন তিনি। ছোট ভাইবোনদের নিজের রুম থেকে দূরে রাখতে বানিয়েছিলেন অ্যালার্ম ঘড়ি। মাত্র ১০ বছর বয়সে বেজস তার দাদিকে কাঁদিয়ে ফেলেন এটা বলে, যে দাদি সিগারেট খেয়ে কত বছর আয়ু কমিয়েছেন। তখন তার দাদি তাকে কাছে টেনে বলেন, বেজস তুমি খুব শিগগির বুঝতে পারবে চতুর হওয়া সহজ, কিন্তু দয়ালু হওয়া সহজ নয়। বেজস দয়ালুর চেয়ে চতুর বেশি, মানুষ এই পরিচয়েই তাকে চেনে; যা আমাজনের উন্নতি দেখলে সহজেই অনুমান করা যায়।

প্রথমে তিনি আমাজনে কর্মী নিয়োগ দিতেন পরীক্ষার নম্বর বিবেচনা করে। ধীরে ধীরে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় নম্বরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেন। মেধাবীরা টিকে গেল, কম নম্বর যারা পেলেন, পিছিয়ে গেলেন। আমাজনের কর্মীদের এমনও অভিযোগ আছে যে, তারা টয়লেট যাওয়ার জন্যও খুব কম সময় পান। ইলেক্ট্রনিক মনিটরগুলো সবসময় কর্মীদের দিকে নজর রাখে, তারা কী পরিমাণ বক্স প্যাকেজিং করছে, সেটির হিসাব রাখে। কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে আমাজন।

আমাজনের জন্য তার কাজের ধরন সবসময় ভিন্ন ছিল। ১৯৯৪ সালে নিজের গ্যারেজে বইয়ের দোকান দেন তিনি। বিনিয়োগকারীদের বলেও দেন এই প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ। এরপর থেকে তিনি অনেক নিয়মনীতি তৈরি করেন। আমাজনে পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার করা যায় না, এটা ব্যান। সবকিছু হাতে লিখেই বোঝাতে হবে। বড় টিম বেজস পছন্দ করেন না। তিনি বলেন, কোন টিম এত ছোট হওয়া উচিত, যে টিমের সদস্যদের খাওয়াতে হলে দুটি পিৎজাই যথেষ্ট। 

তবে আমাজনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক, গ্রাহকদের ব্যাপারে এরা বেশ সচেতন। গ্রাহকদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বেজস পছন্দ করেন। এমনকি কারো কোনো সমস্যা হলে সরাসরি বেজসকে মেইলও করতে পারেন। তিনি তার কোনো সহকর্মীকে মেইলটি ফরোয়ার্ড করে দেন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে বলেন। অফিসেও কর্মীরা একে অন্যের কাজের মূল্যায়ন করে, সমালোচনা করে। 

অনেক রাজনীতিবিদ তার সমালোচনা করেছেন, কিছুই তিনি কানে তোলেননি। ট্রাম্প বলেন, বেজস নাকি কর ফাঁকি দেন। তখন আমাজনের শেয়ারের দাম কমে বেজসেরও লোকসান হয়। তার বিরুদ্ধে কর্মীদের কম বেতন দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। বেজসের অপবাদ গায়ে লাগে, সঙ্গে সঙ্গে কর্মীদের বেতন ১৫ ডলার বাড়িয়ে দেন। একদিনের মধ্যে একটি দাতব্য সংস্থায় ২০০ কোটি ডলার দান করেন বেজস। এ সংস্থা তার প্রাক্তন স্ত্রীর। মহাকাশ নিয়েও তার মহাপরিকল্পনা। প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলার করে বিনিয়োগ করছেন ‘ব্লু অরিজিনে’। স্কুলজীবন থেকে মানুষের পরিকল্পনা বেজসের। ইচ্ছা, সৌরজগতে পাড়ি জমাবে মানুষ। ইলন মাস্কের মতো তিনিও রকেট বানাচ্ছেন। তবে ইলন মাস্কের মতো দ্রুত কিছুই করত পারছেন না।

আপনি আরও পড়তে পারেন