শীতে প্রবীণদের জন্য প্রয়োজন বিশেষ সতর্কতা

শীতে প্রবীণদের জন্য প্রয়োজন বিশেষ সতর্কতা

শীত মৌসুমে আমাদের সবারই উচিত শরীরের প্রতি একটু বাড়তি যত্নের নেওয়া। শিশু থেকে শুরু করে বাড়ির প্রবীণদের বেলায়ও রাখতে হয় বিশেষ সতর্কতা। কেননা অতিরিক্ত ঠান্ডায় তারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। 

শীতকালে বয়স্কদের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল হাইপোথারমিয়া। শরীরের তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচে নেমে যায়। হাইপোথারমিয়া হলে প্রভাব পড়বে কিডনি, লিভারে। ফুসফুসের কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইনফেকশন জনিত সমস্যা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও স্কিনের সমস্যাও বাড়ে এইসময়। তাই তাদের শরীর গরম রাখা এসময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নিই কিভাবে প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পদ্ধতিগুলো:- 

ঠান্ডা বেশি পড়লে বাড়ির সব দরজা, জানলা বন্ধ রাখুন। এতে ঘর গরম থাকবে। গরম কাপড়, লেপ, কম্বল কাছে রাখুন। ঘর গরম রাখতে রুম হিটারের ব্যবস্থা রাখুন। তবে হিটার অন রাখলে অবশ্যই দরজা বা জানলা অল্প খুলে রাখবেন, যাতে রুমের মধ্যে গ্যাস তৈরি না হয়।

শরীরচর্চা করাতে পারেন। একটু হাঁটাহাঁটি করলে শরীর গরম থাকবে। ফিজিক্যালি অ্যাক্টিভ থাকলে অনেক রোগও ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারবে না। তা না হলে অলসতা, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে। এক্সারসাইজ করলে ঘাম হবে, ঘামের মধ্যে দিয়ে টক্সিন বেরিয়ে যাবে, যার ফলে হেলদি থাকবেন তারা। 

শীতে সবাই গরম পানিতে গোসল সারতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে আছেন কনকনে ঠান্ডাতেও ঠান্ডা পানি দিয়েই গোসল করেন। তবে বয়স্কদের বেলায় অবশ্যই গরম পানি দিন। তবে পানি যেন খুব বেশি গরম না হয়। বেশি গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে, যার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বয়স্করা।

শীতে শরীর হাইড্রেট রাখুন। এই সময়টাতে পিপাসা কম পায়। ফলে পানি খাওয়াও হয় না ঠিক করে। তবে পানি কম খেলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, সেই সঙ্গে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তাই শরীর হাইড্রেট রাখা খুব জরুরি। ঠান্ডা পানি খেতে না পারলে হালকা গরম পানি দিতে পারেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন