রাজিবপুরে ইউনিয়নবাসি ডিজিটাল সেবা নিতে হয়রানি শিকার

রাজিবপুরে ইউনিয়নবাসি ডিজিটাল সেবা নিতে হয়রানি শিকার

রাজিবপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেবা নিতে গিয়ে হয়রানি শিকার হচ্ছে রাজিবপুর সদর ইউনিয়নবাসি । ২০২১ সালের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করাতে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন । তাই ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টারে জন্মনিবন্ধন করতে অনেকেই ভিড় করছে ।
এই সুবাদে রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের ডিজিটার সেন্টারে কর্মরত মোঃ শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । কারও কাছে ১০০, কারও কাছে ১৫০, আবার কারও কাছে ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।


এছাড়াও ১৮ নিচে যারা নিবন্ধন করতে আসে তাদেরকে তার বাবা মায়ের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন চাওয়া হচ্ছে । এ বিষয়ে তার কাছে নোটিশ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নোটিশ আমি কতজনকে দেখাবো আর নোটিশ টাঙিয়ে দিলে কেউ দেখে না।” বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বলে, “এখন নেই  ।”শুধু এখন এর আগেও ২০১৯ সালে তখন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় তখনও তিনি জন্ম মৃত্যু প্রাপ্তি রশিদে ৫০ টাকা উল্লেখ করেন কিন্তু রায়হানুল ইসলাম, নামের এক ব্যক্তির কাছে ১৫০ নিয়ে ছিলেন । শুধু রায়হান না এভাবে শত শত মানুষের কাছে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ।

ভুক্তভোগী জাউনিয়ার চর, মোছাঃ শিরিনা বেগম, তিনি সাংবাদিকদের জানান, “ আমি আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধন করতে ডিজিটাল সেন্টারে শফিকুল এর কাছে গেলে তিনি আমার স্বামী ,শ্বশুর, শাশুড়ি সহ আমার পিতা মাতার আইডি কার্ড দিয়ে আমার আর আমার স্বামীর ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করতে বলে, সেই সাথে জন্ম নিবন্ধন ফি জন প্রতি ২০০ টাকা করে চাওয়া হয় । ২০০ টাকা না দিলে কারও জন্ম সনদ দেওয়া হবে না  এবং ১০০ টাকাসহ ভোটার আইডি কার্ড যারা জমা দিয়েছিল তাদের কে টাকা আইডি কার্ড এর কাগজ ফেরৎ দেওয়া হবে । ”


প্রত্যেক প্রাইমারি স্কুলের ১৬ ই জানুয়ারির মধ্যে জন্ম সনদ চাওয়া হয়েছে । আর এই সুযোগ টাই কাজে লাগাচ্ছে  রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের ডিজিটার সেন্টারে কর্মরত মোঃ শফিকুল ইসলাম ।

অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে ১ং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমরা ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েছি, যদি কারও কাছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় এবং সেই বিষয়ে অভিযোগ করে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”


ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত মোঃ শফিকুল ইসলাম কে বেশ কয়েকবার ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি ।

আপনি আরও পড়তে পারেন