কারা আসবে ভ্যাকসিনের আওতায় সেটা নির্ধারণই বড় চ্যালেঞ্জ

কারা আসবে ভ্যাকসিনের আওতায় সেটা নির্ধারণই বড় চ্যালেঞ্জ

যেহেতু প্রথম ধাপেই সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাচ্ছে না, তাই কারা এর আওতায় আসবে সেটা নির্ধারণই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর। তারা বলছেন, মাস্ক পরতেই অনীহা যাদের তাদের ভ্যাকসিনে আস্থা আনতেও বেগ পেতে হবে। সে ক্ষেত্রে পুরো প্রক্রিয়ায় জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

চলতি মাসেই দেশে আসছে করোনার টিকা। এরই মধ্যে নীতিমালার খসড়া তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে পুরোদমে। রাজধানী থেকে জেলাপর্যায়ে বিতরণ পরিকল্পনাও প্রায় চূড়ান্ত।

প্রথম দফায় ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে না ১৮ বছরের নিচের জনগোষ্ঠী। বাদ যাবেন অন্তঃসত্ত্বা কিংবা জটিল রোগে আক্রান্তরা। সরকারের প্রথম ধাপের ভাবনায় ৫৫-এর বেশি ফ্রন্ট লাইনাররা। সে ক্ষেত্রে প্রথম দফার এ ২৫ লাখ নির্বাচনই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

ঢাকার সিভিল সার্জন আবুল হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, সবাইকে দিচ্ছি না, এটা একটা ন্যাশনালাইজড ভ্যাকসিন প্রোগাম না, কাস্টমাইজ। এই যে কাস্টমাইজ পিপলসকে সিলেক্ট করা অবশ্যেই একটা চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া বড় বাধা হতে পারে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা।

তিনি আরো বলেন, ভ্যাকসিনে মানুষের যে একটা আস্থার ব্যাপার, সংকট ঠিক বলব না, একটা নতুন জিনিসকে গ্রহণ করার দ্বিধা কাজ করছে এখানে। এ দ্বিধাটা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। মানুষের মাঝে আমাদের আস্থা তৈরি করতে হবে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ আস্থা অর্জনে পরিকল্পনা হতে হবে প্রকাশ্যে। নিশ্চিত করতে হবে স্বচ্ছতা।

এ নিয়ে অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমদ বলেন, একদিকে এটাকে যেমন খুব স্বচ্ছতা রাখা উচিত এবং এর জন্য খুব ঊচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে, ভালো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রধান করলে, প্রত্যেকটা পর্যায়ে এটা প্রকাশ্য ও এটার পরিকল্পনা হওয়া উচিত আর এটা সবাইকে জানানো উচিত।

এ ছাড়া ভ্যাকসিন-পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় শক্তিশালী টিম গঠনের তাগিদ তাদের।

আপনি আরও পড়তে পারেন