শীতের প্রকোপে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা

শীতের প্রকোপে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা

শীতের প্রকোপের সঙ্গে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। শীতকালে জীবাণু বেশি সক্রিয় হওয়ায় প্রাপ্তবয়ষ্করা নানা রোগে আক্রান্ত হলে তাদের সংস্পর্শে এসে শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে অভিভাবকদের বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর ঢাকা শিশু হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে রোগী আসে ১০০ থেকে ১৫০ জন। কিন্তু শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। যাদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শিশুই সর্দি কাশি নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ নানা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) জীবাণুর আক্রমণের পাশাপাশি অভিভাবকদের মাধ্যমেও শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বলে জানান ঢাকা শিশু‌ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও সহকারী অধ্যাপক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বিপুল।

গত কয়েকদিন ধরে শিশুদের এসব রোগ বেড়ে যাওয়ায় সামাল দিতে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের বলেও জানান তিনি।

এদিকে দেশজুড়ে কয়েকদিনে আবারো বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শীতে বিপর্যস্ত জীবনযাপন। দিনের বেলাতেও যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তীব্র ঠাণ্ডায় কাজে বের হতে না পারা খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। গত কয়েকদিনে প্রতিদিনই বিভিন্ন হাসপাতালে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু আর বৃদ্ধই বেশি।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক এ এফ এম গাউসুজ্জামান জানান, শীত থাকবে আরো দুই তিন দিন। কুড়িগ্রামে, পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলোতেও শীত জেকে বসেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন