বীর সন্তানদের স্মরণে প্রস্তুত কবি নজরুল সরকারি কলেজ

বীর সন্তানদের স্মরণে প্রস্তুত কবি নজরুল সরকারি কলেজ

মো.শাহিন বিশেষ  প্রতিনিধি

রাত পোহালেই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস। ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন যে বীর সন্তানরা, সেই অমর সন্তানদের স্মরণে প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে ২১শে ফেব্রুয়ারি। এদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য এদিন সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে জীবন দিয়েছিলেন। এজন্যই দিনটি একই সঙ্গে গৌরবের ও শোকের। আগামীকাল জাতি শ্রদ্ধাভরে সেইসব শহীদদের স্মরণ করবে। দিবসটি শুধু বাঙালির নয়, পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের। পৃথিবীর কয়েক হাজার ভাষাভাষী মানুষও দিনটি শ্রদ্ধাভরে পালন করে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারগুলোকেও ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়। একুশের প্রথম প্রহরে ফুলেল শুভেচ্ছায় গভীর শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।

এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের ধোয়ামোছা শেষ হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জার কাজ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সৌন্দর্য বাড়াতে কলেজের শহীদ মিনারে রঙসহ বাংলা বর্ণমালাগুলো লেখা হচ্ছে। আশপাশের রাস্তাজুড়ে আলপনা আঁকার কাজ চলছে।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, অমর একুশ উদযাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পুরো কাজ আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।

শহীদ দিবসের অনুভূতি নিয়ে ইংরেজি  বিভাগের শিক্ষার্থী এইচ এম ফরহাদ  বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আমরা এই দিনে শহীদ দিবস পালন করি। বহির্বিশ্বে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এই দিনে আমরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে  আমাদের কলেজে শহীদ দিবস পালিত হবে। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান  বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ মোল্লা  বলেন, ‘একুশ আমার গর্ব, একুশ আমার অহঙ্কার। যেহেতু এবার মুজিববর্ষ তাই এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে আমার অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। আমি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের মনে প্রাণে স্মরণ করি ও শ্রদ্ধা জানাই।

আপনি আরও পড়তে পারেন