বাছাইপর্বে জয় পেল স্পেন-ফ্রান্স

বাছাইপর্বে জয় পেল স্পেন-ফ্রান্স

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে দুই হেভিওয়েট দল স্পেন এবং ফ্রান্স। কসোভোর বিপক্ষে লা ফিউরা রোজারা জিতেছে ৩-১ গোলে। এ জয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে এল লুইস এনরিকে বাহিনী। রাতের আরেক ম্যাচে গ্রিজম্যানের গোলে জয়ের দেখা পেয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও শেষ রক্ষা হয়নি বসনিয়া-হার্জেগোভিনার।

গ্রিস আর জর্জিয়ার বিপক্ষে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি স্প্যানিশদের। একটাতে কোনোরকম জয় আর আরেকটাতে ড্র বেশ চিন্তাতেই ফেলে দিয়েছিল লুইস এনিরিকেকে। তবে, সেভিয়ার মাঠে তৃতীয় ম্যাচে এসে নিজেদের ছন্দ খুঁজে পেল স্পেন।

দুর্বল কসোভোর বিপক্ষে দলে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন আনেন লুই। কিন্তু একেবারে আনকোড়া কাউকে নামিয়ে দেননি এ স্প্যানিশ। বরং, বেঞ্চের শক্তিটা পরখ করে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। আর সে পরীক্ষাতে বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছেন তারা। আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন কোচকে।

শুরু থেকেই মাঝ মাঠ দখলে ছিল লা রোজাদের। শক্তির বিচারে অনেক পিছিয়ে থাকা প্রতিপক্ষকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকে তারা। আগের ম্যাচগুলোর ভুল শুধরে আক্রমণের চাপ ধরে রাখে কসোভোর ওপর। কিন্তু সামির উইকানির বীরত্বে বারবার বেঁচে যেতে থাকে অতিথিরা।

পরে ৩৪ মিনিটে গোল মুখের দরজা খুলতে সমর্থ হয় স্পেন। ড্যানিয়েল ওলমোর স্কোরে এগিয়ে যায় তারা। গোল খেয়ে কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়ে কসোভো। সুযোগটা শতভাগ কাজে লাগায় স্বাগতিক দল। ২ মিনিটেই ব্যধান দ্বিগুণ করে এনরিকে বাহিনী। পেদ্রির অ্যাসিস্টে গোল করেন ফেরান টরেস।

বিরতি থেকে ফিরে কিছুটা নেতিয়ে পড়ে স্পেন। এগিয়ে থাকার তৃপ্তিতে, অগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে তারা। ফলাফল ৭০ মিনিটে সিমোনের ভুলে গোল খায় স্বাগতিকরা। কসোভোর হয়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন বেসার হালিমি।

তবে, লিড বাড়াতে বেশি দেরি করেনি স্পেন। ৫ মিনিট বাদেই, দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন জেরার্ড মরেনো। স্বস্তির জয় পায় স্পেন। এ জয়ে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে এলো তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পরের জায়গাটিতে আছে সুইডেন।

রাতের আরেক ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে উঠে ফ্রান্স। কিন্তু বসনিয়ানদের বিপক্ষে কিছুতেই সুবিধা করে উঠতে পারছিল না এমবাপ্পে-গ্রিজম্যান-পগবারা।

উলটো পালটা আক্রমণে বেশ কয়েকবার হুগো লরিসকে কাঁপিয়ে দিয়ে যায় জেকো-ক্রুনিচরা। ফরোয়ার্ডদের নিষ্প্রভতায় নিষ্ফলা প্রথমার্ধ কাটে দুই দলেরই।

ফিরে এসে আক্রমণের কৌশল পাল্টায় ফ্রান্স। গতিশীল ফুটবলে বসনিয়াকে নাস্তানাবুদ করে তোলে দেশম শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত ৬০ মিনিটে টানা আক্রমণের সুফল পায় ফরাসীরা। র‌্যাবিয়টের ক্রস থেকে হেড করে দলকে আনন্দে ভাসান আঁতোয়া গ্রিজম্যান।

শেষ দিকে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। টানা দ্বিতীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।

আপনি আরও পড়তে পারেন