ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এটিএমএম আবু আসাদকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে সরিয়ে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, এটিএম আবু আসাদ ২০১৮ সালে পদোন্নতি পেয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে যোগদান করেই শুরু করেন বদলি বাণিজ্য। চুক্তি অনুযায়ী মাসোহারা সঠিকভাবে না পৌঁছালে ফের বদলি বা সংযুক্তি। জোরপূর্বক অফিসের একজনকে অন্যত্র সংযুক্তি দিয়ে সে পদে আরেকজনকে সংযুক্ত করেছেন তৎকালীন এডিজি আবু আসাদ। এ ছাড়া ব্যক্তগিত সহকারী এবং ড্রাইভার দিয়ে পাসপোর্ট আটকে রেখে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
রাজধানীতে বিপুল অর্থে জমি ক্রয়ের আবেদনও করেন এটিএম আবু আসাদ, যা অবৈধ উপার্জন বলে অভিযোগ আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ পাঠানো নথিতে বলা হয়, ‘আবু আসাদ দেশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং বিদেশের মিশনগুলোতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বিনিময়ে পদায়ন করছেন।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক এই পাসপোর্টের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ টি এম আবু আসাদ বলেন, ‘একজনকে তিনটা পাসপোর্ট দিয়েছি মিথ্যা কথা, ভুল কথা। সবই মিথ্যা এবং সাজানো।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরে কোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের স্থান নেই জানিয়ে মহাপরিচালক জানিয়েছেন, ঢেলে সাজানো হবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই সেবা সংস্থাকে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরী সময় নিউজকে বলেন, ‘দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণবিধি এবং তার আইন আছে। আমাদের এই ছাড়া ফলো করার কোনো নিয়ম নেই।’
সদ্য মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হওয়া কর্মকর্তা এটিএম আবু আসাদ ছাড়াও পাসপোর্ট অফিসের একাধিক কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।