যাদের প্রয়োজন সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার

যাদের প্রয়োজন সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে যাদের প্রয়োজন সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা ও মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ভ্যাকসিন একটি পন্থা। পাশাপাশি মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা একটি বড় বিষয়।

বুধবার (১২ মে) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উপহার হিসেবে চীনের পাঠানো পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পাঁচ লাখ ভ্যাকসিন আমরা দুই ডোজ করে আড়াই লাখ লোককে দিতে পারবো। আমাদের দেশে যা প্রয়োজন তা দুই দিনেই লেগে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি আরও ভ্যাকসিন আনার জন্য। যাতে যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন সবাইকে যেন দিতে পারি। আমরা চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেছি পরবর্তীতে ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, চীন বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। আমি অনুরোধ করেছি, প্রতি মাসেই ভাগ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য, যেন আমরা টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে পারি।

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দিয়েছে। আমরা চীনের প্রেসিডেন্ট এবং সব নাগরিককে ধন্যবাদ জানাই, এ রকম সময় আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একইভাবে আমরাও চীনের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম; যখন প্রথম উহানে করোনা ভাইরাস দেখা দিলো এবং সেখান থেকে ছড়িয়ে গেলো চীনে ও পুরো বিশ্বে। যতদূর সম্ভব ছিল ওষুধপত্র উপহার হিসেবে আমরা চীনকে দিয়েছিলাম। সেই বন্ধুত্ব আবারও তারা দেখালেন। পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তারা পাঠালেন।

এর আগে বুধবার ভোরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনের পাঁচ লাখ সিনোফার্ম টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। 

ভোর ৫টা ৩১ মিনিটে টিকা নিয়ে বিমান বাহিনীর (এস-৩এজিএফ) ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

আপনি আরও পড়তে পারেন