রাণীনগরে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড; জড়িত শিক্ষককে আবারও শোকজ করলেন কর্তৃপক্ষ

রাণীনগরে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড; জড়িত শিক্ষককে আবারও শোকজ করলেন কর্তৃপক্ষ

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার বিজ্ঞান) সাদেকুল ইসলাম পিটুর বিরুদ্ধে আবারও শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। ওই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) ভাইরাল হওয়ায় ঘটনায় শোকজের উপযুক্ত জবাব দিতে না পারার জন্য তাকে দ্বিতীয়বার শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

গত ১মে থেকে বিভিন্ন আইডি ও লাইক পেজে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে নিউজ প্রকাশের পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা ও ছাত্রীদের অভিভাবকরা।

উল্লেখ্য যে, উপজেলার বেলোবাড়ি গ্রামের মৃত আসরত আলী মিনার ছেলে সাদেকুল ইসলাম পিটু ২০১০ সালে রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগার হিসাবে যোগদান করেন। এরপর থেকেই পিটু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পাইভেট পড়াতেন। এরই মাঝে ওই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ অনৈতিক কাজের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে গত বছর স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়। সে সময় স্থানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামচাপা পড়েছিল। এরপর হটাৎ করে সেই ভিডিওটি আবার ভাইরাল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, এব্যাপারে আমার কাছে কেউ লিখিত ভাবে অভিযোগ করেননি। বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমে তাকে শোকজ করা হয়েছিল। তার প্রথম শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার তাকে আবারও শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুধবার তাকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম হোসেন গোল্লা বলেন, সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মিটিংএর পর অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তার দেওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়াই তাকে আবারও ৭ দিন সময় দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তার জবাবের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন