বিশ্বনাথে প্রবাসীদের নামে চত্বর: অনুদান দিলেন এমপি মোকাব্বির

বিশ্বনাথে প্রবাসীদের নামে চত্বর: অনুদান দিলেন এমপি মোকাব্বির

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

সিলেটের প্রবাসী অধ্যূষিত ঐতিহ্যবাহী জনপদ বিশ্বনাথ পৌরসভায় নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ‘প্রবাসী চত্বর’। প্রবাসীদের সম্মানার্থে এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম কোনো স্থাপত্য।

বিশ্বনাথে দেশের প্রথম প্রবাসী চত্বর হচ্ছে এই সংবাদে প্রবাসীরা বেশ আনন্দিত ও উল্লাসিত। কিন্তু তাদের শংকা ছিল আসলে বাস্তবে এই কাজ কতটুকু এগোবে। “কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়াল ঘরে নেই” সেই অবস্থা হবে না তো ?
সবার মনের সকল শংকা দূর করে ‘প্রবাসী চত্বর’র জন্য দু দফায় মোট ছয় লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির আলোচিত মুখ সিলেট-২  (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান এমপি।

এতে এলাকাবাসী বেশ উৎফুল্ল । গত কয়েক বছর পূর্বে বিশ্বনাথ-লামাকাজী সড়কের মধ্যবর্তী রামপাশা রোডের তিন রাস্তার মুখে সড়ক ও জনপদ বিভাগ একটি গোল চত্বর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে । এতে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ও হয়। কিন্তু শুধু ইটের গাঁথুনি দিয়ে চত্বরটিকে গোল আকৃতি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ ইটের গাঁথুনি পর্যন্ত। গাঁথুন দিয়ে দৃষ্টি নন্দন কিংবা নান্দনিক কিছু করা তো দূরে থাক সামান্যতম প্লাস্টারও করা হয়নি। ফলে আস্তে আস্তে ইটের গাঁথুনি গুলো খসে পরতে থাকে।
তখন অনেকেই উক্ত ঢত্বরটি ময়লা আবর্জনার ফেলার স্থান হিসেবে বেছে নেয়।
গত ১১ এপ্রিল ২০২১ সাংসদ মোকাব্বির খান এই গোল চত্বর উন্নয়নের জন্য তিন লাখ টাকা প্রদান করেন। এর কয়েকদিন পর বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস বিশ্বনাথে যোগদান করেন।

কাজ পাগল (ফাটাক্যাষ্ট খ্যাত) এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারও দৃষ্টিগোচর হয় এই গোলচত্বরটি। তিনি উদ্যোগ নেন এই চত্বরটিকে নান্দনিক রূপ দিতে। আর এজন্য তিনি একটি আর্কেটিক কোম্পানিকে ডিজাইন প্রণনয়নের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন। তারা বিভিন্ন দেশের মুদ্রা খচিত একটি দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক স্থাপত্যের প্রাথমিক ডিজাইন প্রদান করেন। এতে স্থাপত্য নির্মানের জন্য সাংসদ মোকাব্বির খান গত ৮ জুন দ্বিতীয় দফায় আরো তিন লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে ।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, সেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এমনকি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীরা অবদান রেখে আসছেন । বিশ্বনাথে প্রবাসীদের সম্মানে যে গোলচত্বর নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে প্রবাসীরা আনন্দিত হলে আমাদের প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে ।

বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাশ বলেন , আমি বিশ্বনাথে যোগদানের পর গোলচত্বরের করুন দশা দেখে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি । স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয় দুদফা মোট ৬ লাখ টাকা প্রদান করায় কাজটি দ্রুত শুরু করা সম্ভব হয়েছে । আমরা আশা করছি এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য নির্মাণের পর বিশ্বনাথবাসী গর্বিত হবেন এবং প্রবাসীদের কাছে দেশের সুনাম আরো বৃদ্ধি পাবে ।

আপনি আরও পড়তে পারেন