মার্কিন পপতারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ছোট বোন জেমি লিন স্পিয়ার্স (৩০) ও তার মেয়ে ইভিকে (১৩) হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেমি লিন স্পিয়ার্স জানান, গত শুক্রবার রাত থেকে মেসেজ পাঠিয়ে তার মেয়েসহ তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। খবর দ্যা মিররের।
নিজের ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে দেয়া এক পোস্টে শুক্রবার রাতে লিন এ কথা জানান।তবে, কারা তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে এ কথা উল্লেখ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, মার্কিন পপতারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স তার বাবার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে তাকে বন্দি করে রাখার অভিযোগ করেছেন আদালতে।
৩৯ বছর বয়সি এই মার্কিন তারকা সাফ জানিয়ে দিলেন, এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি চান তিনি।
প্রায় ১৩ বছর ধরে ব্রিটনির জীবনযাত্রা ও আর্থিক সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তার বাবা জিমি। যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় জিমিকে।
এ বন্দিদশা থেকে মুক্তি চেয়ে আদালতের কাছে ব্রিটনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব এই ‘অপমানজনক’ বন্দিত্ব থেকে তিনি মুক্তি চান।
তার অভিযোগ, তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করতে ও আরেক সন্তান নিতেও তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
দুই সন্তানের জননী ব্রিটনি তার প্রেমিককে বিয়ে করতে চান এবং নিতে চান আরও সন্তান। কিন্তু তার বাবা সেটি হতে দিতে চান না। তাকে গর্ভনিরোধক ইনট্রাউটেরিন ডিভাইস (আইইউডি) ব্যবহারে বাধ্য করা হচ্ছে, যেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা হতে না পারেন।
লসঅ্যাঞ্জেলেসের আদালতের বিচারককে ব্রিটনি বলেছেন, এসবের কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং দিনের পর দিন কেঁদেছেন।
এর পর তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই’।ব্রিটনির সাবেক বয়ফ্রেন্ড জাস্টিন টিম্বারলেক আরও অনেকের মতো ব্রিটনিকে সমর্থন জানিয়েছেন।
২০০৮ সালে আদালতের এক আদেশে জেমিকে ব্রিটনির যাবতীয় সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়।
আদালত এখনও রায় না দিলেও ‘ফ্রি ব্রিটনি’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।