যে যেভাবে পারছে রাজধানীতে ঢুকছে

যে যেভাবে পারছে রাজধানীতে ঢুকছে

কঠোর বিধিনিষেধেও আটকানো যাচ্ছে না রাজধানীতে মানুষের প্রবেশ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকে, পিকআপে, প্রাইভেটকারে করে আমিনবাজার আসছে মানুষ। সেখানে থেকে হেঁটে গাবতলী ব্রিজ পার হয়ে তারা রাজধানীতে প্রবেশ করছেন।

হেঁটে আসলে কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন না কেউ। তবে মুখে মাস্ক না থাকলেই আটকানো হচ্ছে পুলিশের চেকপোস্টে। বুধবার (৪ আগস্ট) আমিনবাজার, গাবতলী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মস্থলে যোগ দিতে যে যেভাবে পারছে, সেভাবেই রাজধানীতে ঢুকছে। তবে পরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কেউ রিকশা-ভ্যানে আবার কেউ পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে ছুটছেন।

dhaka post

নওগাঁ থেকে আসা সাদ্দাম ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর ঠিকাদার ফোন দেয়। সেই ফোনের পরিপ্রেক্ষিতেই রাজধানীতে আসার সিদ্ধান্ত নেন সাদ্দামসহ আট জন। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় প্রতিজন এক হাজার টাকা করে ট্রাকে চড়ে আমিন বাজার এসেছেন। ব্রিজ পার হয়ে তারা আট জন এখন গাবতলী থেকে ৬০০ টাকায় ভ্যানে মিরপুর ১৪ নম্বর যাচ্ছেন।

ফরিদপুর থেকে আসা রাতুল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, এতোদিন অফিস বন্ধ ছিল। অফিস থেকে ফোন দিয়ে দ্রুত ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে। এজন্য ভেঙে ভেঙে চলে এসেছি। গাড়ি না চলায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে।

dhaka post

গাবতলী ব্রিজে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আজ গাড়ির চাপ কম, তবে সাধারণ মানুষ বেশি। যারা পায়ে হেঁটে আসছেন, তাদের আমরা সেভাবে কিছু বলছি না। তবে মাস্ক না পড়লে আটকানো হচ্ছে। এর বাইরে প্রতিটি গাড়ি রাজধানীতে ঢোকার যথাযথ কারণ জানতে চাচ্ছি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই মামলা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। চলবে গণপরিবহন, খুলবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস।

দেশে করোনার সবশেষ পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৯৭ জনে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৭৬ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩ জনে।

আপনি আরও পড়তে পারেন