এ কেমন দেশ, পয়সা থাকলে চলতে পারবে, না থাকলে ভোগান্তিতে পড়বে

এ কেমন দেশ, পয়সা থাকলে চলতে পারবে, না থাকলে ভোগান্তিতে পড়বে

দ্রুত গতিতে ছুটছে ব্যক্তিগত, মালবাহী গাড়ি ও মোটরসাইকেল। মাঝে মধ্যে দুই-একটি সিএনজিও চলছে। পাল্লা দিয়ে রিকশার গতি বাড়াচ্ছেন চালকেরা। ঢিলেঢালাভাবে চলা চেকপোস্ট অবাধেই পার হয়ে যাচ্ছে এসব পরিবহন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে সবই আছে, শুধু দেখা নেই গণপরিবহনের। অন্যদিকে নানা কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষের পরিবহনের অভাবে দুর্ভোগের চিত্রও দেখা গেল আগের মতোই। ভুক্তভোগী একজন বললেন, এ কেমন দেশ, পয়সা থাকলে চলতে পারবে, না থাকলে ভোগান্তিতে পড়বে।

dhakapost

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরা এলাকার একাধিক জায়গায় এমন দৃশ্যের দেখা মিলল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের দিনের সংখ্যা যতই বাড়ছে, ততই সড়কে ঢিলেঢালাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে (উত্তরা, আজমপুর, আব্দুল্লাহপুর, জসিম রোড, বিমানবন্দর সড়ক) সকাল থেকে দেখা যায়, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, রিকশায় চড়ে যে যার মতো গন্তব্যে ছুটছেন। সড়কে সিএনজির সংখ্যা তুলনামূলক কম। অনেকেই চেষ্টা করছেন রিকশায় করে গন্তব্যে যাওয়ার।

dhakapost

বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী স্টেশনগুলোতে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা থাকতে দেখা গেছে অনেক মানুষকে। কারও কারও অপেক্ষাতেই ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটি ব্যক্তিগত গাড়ি বা মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে দুই-চার জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে।

উত্তরা রাজলক্ষ্মী মোড়ের ওভার ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যাত্রী এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, অফিস-আদালতের গাড়িসহ সবই চলছে। কিন্তু আমাদের মতো আমজনতার একমাত্র ভরসা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। পেটের দায়ে অফিসে যেতে হবে, কিন্তু যাব কীভাবে সেটা দেখার দায়িত্ব সরকার বা অফিসের নয়। এমন একটা দেশেই আমরা বাস করছি।

মো. শামীম হোসেন বলেন, অফিসের জরুরি কাজে মালিবাগ যেতে হবে। কোনো পরিবহন পাচ্ছি না। অথচ রাস্তায় গণপরিবহন ছাড়া সবই চলছে। এ কেমন দেশ। যাদের পয়সা আছে তারা চলতে পারবে, যাদের নাই তারা ভোগান্তিতে পড়বে। হয় সব বন্ধ হোক, না হয় সব খুলে দেওয়া হোক। একটা নিয়মের মধ্যে আসা উচিত।

dhakapost

আজমপুর সড়কের উত্তরা-পূর্ব থানার সামনের চেকপোস্টে গিয়ে দেখা যায়, দুই-চার জন ট্রাফিক কনস্টেবল ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সিএনজি চলাচলে বাধা দেওয়া ছাড়া সব ধরনের পরিবহনকে অবাধে যেতে দেওয়া হচ্ছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটি ব্যক্তিগত গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতেও রাজি হননি।

কয়েকটি জায়গায় দেখা গেল, সিএনজি আটক করে জরিমানা করা হচ্ছে। সিএনজি চালকদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসে যাত্রী নিলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের মতো গরীব সিএনজি চালকদের রাস্তায় নামলেই মামলা খেতে হচ্ছে। গত দুই-তিন দিন ধরে প্রতিদিনই মামলা খাচ্ছেন অধিকাংশ চালকরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন