সরকার আমলা নির্ভর নয়, জনস্বার্থ নির্ভর

সরকার আমলা নির্ভর নয়, জনস্বার্থ নির্ভর

সরকার আমলা নির্ভর নয়, জনস্বার্থ নির্ভর বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) কাকরাইল মিলনায়তনে ১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগস্ট মাস এলেই বাংলার বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। ভোরের আকাশে লাল রক্ত দেখা দেয়।

তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল অতুলনীয়। এটাই সবচেয়ে বর্বর, নির্মম হত্যাকাণ্ড। আগে কখনো অবলা নারী বা শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেনি।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, কী শিক্ষা নিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে? আজকে আমি স্বেচ্ছাসেবক লীগকে মানুষকে ভালোবাসার রাজনীতির শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সততার ও সাহসের অনন্য প্রতীক। এ দুটি অস্ত্র যার কাছে আছে বিজয় তার হবেই।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস আমরা এখনও পাইনি। স্বাধীনতার বস্তুনিষ্ঠ ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস নতুন প্রজন্মের দাবি, সময়ের দাবি।

সরকার আমলা নির্ভর হয়ে পড়েছে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি বলতে চাই, আমাদের সবকিছুই এখনো এক জায়গায় আছে। সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নেয়, আমলারা বাস্তবায়ন করে। এ সরকার আমলা নির্ভর নয়, গণমুখী ও জনস্বার্থ নির্ভর।

পদ্মা সেতুতে আঘাতের বিষয়ে তিনি বলেন, অদক্ষতার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এটি অদক্ষতা নাকি অন্তর্ঘাত, খতিয়ে দেখতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ১৫ আগস্ট এক দিনে সেই ষড়যন্ত্র হয়নি।  আজকেও নানা গন্ধ পাই। আজকে যে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সেদিনও ছিল। কিন্তু তাদের কোনো ভূমিকা দেখিনি। তবে আজকের স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মীও থাকতে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই রাজনীতির মুখ্য কথা। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে মানুষের পাশে দাঁড়াব। মানুষ যদি স্বস্তি ও শান্তি পায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের আত্মাও শান্তি পাবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ১৫ আগস্টের মাধ্যমে তারা বোঝাতে চেয়েছিল একটা পরিবারের বাড়াবাড়ির কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে। আসলে এটি ছিল ষড়যন্ত্রের নীলনকশা। তারা চেয়েছিল মানুষকে কনফিউজ করে দিতে। সময়ের ব্যবধানে সে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। এই কাণ্ডের মূল কারিগর ছিলেন জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, এই খুনিদের উত্তরাধিকার ও দোসররা দেশ বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে। তারেক জিয়া রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে গেলেও বাইরে বসে মিথ্যাচার করছে। বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত আছে, বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তিও। তাদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহর সভাপতিত্বে এতে সংগঠনটির সহ-সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবুসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন