তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চায় চীন

তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চায় চীন

সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার পর চীন বলেছে, তারা তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে ইচ্ছুক। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তালেবানের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কের বিষয়ে এই মন্তব্য করেছেন।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, স্বাধীনভাবে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণে আফগান জনগণের অধিকারকে সম্মান জানায় চীন। তারা আফগানিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক।

গত মাসে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিয়ানজিনে তালেবানের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ইসলামপন্থি এই গোষ্ঠী শক্তিশালী হিসেবে হাজির হওয়ায় ওয়াং ই বলেছেন, আফগানিস্তান একটি মধ্যপন্থি ইসলামি নীতি গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা করেন।

মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের ফলে তালেবান যে গতিতে দেশ দখল করেছে তা চীনের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকরও। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদকে অস্থিতিশীল শক্তি হিসেবে অভিহিত করে বেইজিং; আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতার ঢেউ লাগতে পারে সেখানেও।

জিনজিয়াংয়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলোকে আশ্রয় দিতে তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকা ব্যবহৃত হতে পারে বলে বেইজিংয়ের দীর্ঘদিনের উদ্বেগ রয়েছে। তবে চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিও মেনে চলে।

জিনজিয়াংয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে চীন। সেখানকার সীমান্তগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠীর বিশেষজ্ঞরা জিনজিয়াংয়ের বন্দি শিবিরে কমপক্ষে ১০ লাখ জাতিগত উইঘুর মুসলিমকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু চীন বলছে, ইসলামি চরমপন্থী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ নির্মূলে সহায়তার জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ স্থাপনায় উইঘুরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন