২০০০ আফগানকে আশ্রয় দিচ্ছে উগান্ডা

২০০০ আফগানকে আশ্রয় দিচ্ছে উগান্ডা

তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়া ২ হাজার শরণার্থীকে সাময়িক আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে উগান্ডা। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে এই শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে উগান্ডা রাজি হয়েছে বলে মঙ্গলবার খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা লোকজনকে আশ্রয় দেওয়ার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির। বর্তমানে দক্ষিণ সুদান থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থী উগান্ডায় রয়েছে।

উগান্ডার ত্রাণ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং শরণার্থীবিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী এস্থার আনিয়াকুন দাভিনিয়া রয়টার্সকে বলেছেন, আফগানিস্তানের শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ইয়োরি মুসেভেনিকে অনুরোধ জানানো হয়। পরে তিনি ২ হাজার আফগান শরণার্থীকে উগান্ডায় আনার অনুমতি দিয়েছেন।

‌‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আফগান শরণার্থীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের আগে পর্যন্ত তারা তিন মাসের জন্য সাময়িকভাবে উগান্ডায় থাকবেন।’

তবে আফগান এই শরণার্থীরা কবে থেকে উগান্ডায় পৌঁছাতে শুরু করবেন সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। উগান্ডা ছাড়াও মার্কিন অনুরোধে সাড়া দিয়ে আফগান শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে আলবেনিয়া এবং কসোভো।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকেও আফগান শরণার্থীদের আশ্রয়ের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত রোববার কোনও ধরনের সংঘাত ছাড়াই তালেবানের বিদ্রোহীরা আফগানিস্তানের রাজধানী দখলে নেয়। তালেবান কাবুলে ঢুকে পড়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায় দেশ ছেড়ে ওমানে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এরপর থেকে আফগানজুড়ে তালেবানের ভয়ে ভীত মানুষের দেশ ছেড়ে পালানোর মরিয়া চেষ্টা দেখা গেছে। সোমবার দেশ ছাড়তে মরিয়া হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় কাবুল বিমানবন্দরে।

এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিমানের ডানায় চড়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টার সময় চলন্ত বিমান থেকে তিনজনকে মাটিতে আছড়ে পড়তে দেখা গেছে। বিমানবন্দরে হুড়োহুড়ি করে উঠতে গিয়ে অন্তত পাঁচ জনের প্রাণহানি ঘটে বলে পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়। তবে দেশটির সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ বলছে, কাবুলের বিমানবন্দরে হুড়োহুড়িতে কমপক্ষে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন