পাকিস্তান-ইরানে ২০ লাখ আফগান শরণার্থী

পাকিস্তান-ইরানে ২০ লাখ আফগান শরণার্থী

আফগানিস্তানে কয়েক দশক ধরে সংঘাতের কারণে ইতোমধ্যে লাখ লাখ আফগান নাগরিক প্রতিবেশী দেশ এবং অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। বিবিসি জানাচ্ছে, এর বেশিরভাগ আশ্রয় নিয়েছেন আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া দুই দেশ পাকিস্তান এবং ইরানে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী গত বছরের শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে বসবাসরত আফগান নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে ৬৯ শতাংশ আফগানের বাস দেশটির নগরাঞ্চলগুলোতে।

ইউএনএইচসিআরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী পাকিস্তান ছাড়া ইরানে প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার আফগানের বাস। অনেক আফগান পরিবার পাকিস্তান এবং ইরানের সীমানা অতিক্রম করে যেখানে গিয়ে নতুন করে বাড়িঘর তৈরি করেছে এবং আজও রয়ে গেছে।

তবে পাকিস্তান ও ইরানে বসবাসরত এসব আফগান শরণার্থীর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। পাকিস্তান এসব আফগান শরণার্থীদের স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে বসতি গড়ার অনুমতি দিলেও ইরানে যাওয়া বেশিরভাগ আফগানকে থাকতে হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে।

গত রোববার তালেবান রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিলে আফগানিস্তানে সরকার পতন হয়। এরপর দেশ ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন বহু আফগান। বিমানবন্দরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গুলির ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরে যাওয়া মানুষের ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

দেয়াল, কাঁটাতার সব বাধা পেরিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন অনেক আফগান। পরিবার নিয়ে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় অনেক মানুষকে। যে কোনো উপায়ে হোক, বিমানে ওঠার চেষ্টা করেছেন পালিয়ে যেতে চাওয়া অনেকেই।

প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য ছিল কাবুল বিমানবন্দরে কিন্তু পরিস্থিতি ছিল নাগালের বাইরে। দৌড়ে চলন্ত বিমানে ওঠার চেষ্টা করেন বহু মানুষ। সোমবার বিমানে ওঠার জন্য হুলুস্থুল লাগার ভিডিও পুরো বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছিল আলোচিত বিষয়।

আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজের চাকায় (ল্যান্ডিং গিয়ার) মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। সোমবারের এ ঘটনা নিয়ে গত মঙ্গলবার মার্কিন বিমানবাহিনী একটি বিবৃতি দিয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন