বাগেরহাট-রামপাল-মোংলা মহাসড়ক নির্মাণে ৪৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প

বাগেরহাট-রামপাল-মোংলা মহাসড়ক নির্মাণে ৪৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প

বাগেরহাট জেলার সঙ্গে রামপাল ও মংলা উপজেলায় মানসম্মত সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এজন্য ৪৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক)। এই অর্থে সড়কের মান উন্নয়ন, আরামদায়ক, সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে মনে করছে বিভাগটি।

পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘বাগেরহাট-রামপাল-মংলা জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি গত ১০ আগস্ট একনেক সভায় অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এই প্রকল্পটি বাগেরহাট জেলার সদর, রামপাল ও মংলা উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।

চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৪ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত আছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্র জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ দশমিক ৬৫ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ৬ দশমিক ৮৪ লাখ ঘনমিটার সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ, ২১ দশমিক ৫২ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়ক প্রশস্তকরণ, ২১ দশমিক ৫২ কিলোমিটার বিদ্যমান পেভমেন্ট মজবুতিকরণ, ৪ দশমিক ১১ কিলোমিটার বিদ্যমান পেভমেন্ট মজবুতিকরণ, ৩১ দশমিক ২৩ কিলোমিটার সার্ফেসিং (ডিবিএ ডেন্স বিটুমিনাস সার্ফেসিং), দুই কিলোমিটার রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ, আটটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, ২১টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, চার হাজার মিটার কনক্রিট ইউ ড্রেন নির্মাণ, ছয়টি বাস বে নির্মাণ, ১২ হাজার মিটার আরসিসি প্রিকাস্ট প্যালাসাইডিং, এক হাজার ৮৬০ মিটার রিটেইনিং ওয়াল/টো-ওয়াল নির্মাণ, দুটি ইন্টারসেকশন উন্নয়ন এবং একটি ফেরীঘাট স্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ১২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৩ দশমিক ৮২৮ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা উপযুক্ত লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশিদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে বাগেরহাট জেলা সদরের সঙ্গে রামপাল ও মংলা উপজেলার নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষি পণ্য সহজে গ্রাম থেকে শহরে আনা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন