জাতীয় সংগীত অবমাননা করে বগুড়ায় টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগে আটক পাঁচ শিক্ষার্থীকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এরা হলেন- বগুড়া সদরের ঠনঠনিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে নূরে আলিফ (২২), তিনমাথা এলাকার আব্দুল মালেক বাদশা শেখের ছেলে মিসকাত হোসেন (১৯), এক এসএসসি পরিক্ষার্থী (১৭), নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ও ভাদুড়ীপাড়া গ্রামের আবদুর রহিম ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে আলভি সুজন (২০) ও আরিফ আলী (২০)। ১৭ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া এক কিশোর ছাড়া প্রত্যেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও বগুড়া শহরের বিভিন্ন কলেজে স্নাতকে অধ্যয়নরত।
এর আগে সোমবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সদর থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
সদর থানা সূত্রে জানা যায়, শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল মাঠে স্থাপিত শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে বিকৃত ও ব্যঙ্গ করে টিকটক ভিডিও কিছু যুবক। ভিডিওটি পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের নজরে আসলে বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজাকে পাঠিয়ে ওই যুবকদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য বলা হয়। বার্তা পেয়ে সদর থানা পুলিশ সোমবার দিবাগত রাতে চার যুবক ও এক কিশোরকে আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অসৎ কোনো উদ্দেশ্য না থাকায় ও আটক সবায় শিক্ষার্থী হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির আল আহসান বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে জাতীয় সংগীত বিকৃত করা ওই যুবকদের শনাক্ত করে আমরা আটক করেছিলাম। পরে জিজ্ঞাসাবাদে শেষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, আটকরা সবাই শিক্ষার্থী। তারা তাদের ভুল বুঝতে পারায় হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা এমন কাজ আর করবে না বলে জানিয়েছেন।
