রাণীনগরে টিসিবি পন্য নিতে উপচে পড়া ভীড় ॥ মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি-সামাজিক দূরত্ব

রাণীনগরে টিসিবি পন্য নিতে উপচে পড়া ভীড় ॥ মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি-সামাজিক দূরত্ব
বিকাশ চন্দ্র প্রাং, নওগাঁ প্রতিনিধি:
সারা দেশের মতো নওগাঁর রাণীনগরেও চলছে টিসিবির মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য বিক্রি। কিন্তু করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে এই পন্যগুলো বিক্রি করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আবার অনেকের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তাই সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে এই পন্য বিক্রির প্রতি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অনেকেই। যেহেতু বর্তমানে করোনা ভাইরাসে গ্রামের মানুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তাই পন্য নিতে গ্রাম থেকে আসা এই মানুষগুলোর মাধ্যমে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
সূত্রে জানা গেছে, স্বল্প ও সঠিক দামে তেল, চিনি, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত মানুষদের কাছে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয় টিসিবি সেবা। নির্দিষ্ট ডিলারদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান গাড়ীতে এই পন্যগুলো একটি প্যাকেজের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে ও অন্যান্য স্থানে সপ্তাহে ৩দিন করে এই টিসিবির পন্য বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু এই পন্যগুলো বিক্রির সময় মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোন প্রকারের স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করছেন না অনেকেই। এছাড়া সামাজিক দূরত্বও একেবারেই মানা হচ্ছে না। ভ্রাম্যমান গাড়ী এলেই শত শত মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে ক্রয় করছেন এই পন্যগুলো। আবার স্বজনপ্রীতি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে টিসিবির পন্য বিক্রি করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন উপজেলার সচেতন মহল।
পন্য কিনতে আসা অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, অনেক ক্রেতাকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে অপেক্ষা করার পর এই পন্যগুলো পেতে হচ্ছে আবার অনেক প্রভাবশালীরা আড়ালে থেকেও পন্যগুলো নিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও অনেক ডিলাররা বেশি মুনাফার আশায় পন্য মজুদ রেখেও বলে শেষ হয়ে গেছে। পরে তারা সেই পন্যগুলো বেশি দামে দোকানে কিংবা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। এতে করে প্রতারিত হচ্ছে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকা সাধারন মানুষরা। এছাড়াও উপজেলা কিংবা পুলিশ প্রশাসনের কোন সদস্য টিসিবি পন্য বিক্রির সময় উপস্থিত না থাকা কিংবা সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষন না করার কারণে সবাই আগে পাওয়ার আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন। তাই পন্য নিতে আসা মানুষরা স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব একদম মানেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, প্রথম দিকে একাধিক ডিলারকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করেছি। এরপর থেকে সঠিক ভাবে এই পন্য বিক্রির লক্ষ্যে আমি একজন কর্মকর্তাকে মনিটরিং এর দায়িত্বে রাখি। কিন্তু পন্য নিতে আসা এতোগুলো মানুষকে নিয়ন্ত্রন করা একজন মানুষের পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। পরবর্তিতে আমি স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব পালনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন