বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। তার পরিবারের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের সব শর্ত বহাল রেখে চতুর্থ বারের মতো মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া শর্ত সাপেক্ষে যে জামিন পেয়েছেন এবং চিকিৎসা করাচ্ছেন, সে সময়টা বৃদ্ধির জন্য তার পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদন যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চর্তুথবারের মতো সাজা স্থগিতের মেয়াদ আগের সব শর্ত বহাল রেখে ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাস গণনা শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে তার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য প্রথমে ৬ মাস সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। সে সুবিধা আবারও চতুর্থবারের মতো দেওয়া হলো। তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসাসেবা যেভাবে নিতে চান, সেভাবে নেবেন।
তবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি অন্যান্য শর্ত বহাল থাকবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্থায়ী মুক্তির দাবি ছিল, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আদালত জানে। তাহলে তাদের আদালতে যেতে হবে। তাদের আবেদনেন পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের যে ব্যবস্থা, সেটা আমরা নিয়েছি। আর বাদবাকি যেগুলো, সেটার জন্য আদালতে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর সম্প্রতি এ আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দেয় আইন মন্ত্রণালয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চ মাসে তৃতীয় দফায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। চলতি সেপ্টেম্বরে সেই মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। মেয়াদ শেষের আগেই খালেদার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো সরকার।