নাগরিকদের জন্য নভেম্বর থেকে সীমান্ত খুলছে অস্ট্রেলিয়া

নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য নভেম্বর থেকে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে, আগামী মাস থেকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের বাইরের দেশ থেকে নিজ দেশে প্রবেশ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে বাইরের দেশগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকছে না।

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে, অস্ট্রেলীয়দের তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার।’

প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে প্রায় ২০ মাস পর অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের জন্য বিদেশে যাওয়া বা বিদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরে আসার পথ তৈরি হচ্ছে। তবে যেসব নাগরিক করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, কেবল তারাই এই সুবিধা ভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন স্কট মরিসন।

ব্রিফিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপাতত বিদেশি নাগরিক ও ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করা হচ্ছে না, তবে সরকার এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে এবং তিনি আশার করছেন, আসন্ন দিনগুলোতে এ বিষয়ক বিধিনিষেধও শিথিল করা হবে।

করোনা মহামারি রুখতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে সীমান্ত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ক সরকারি আদেশে সে সময় বলা হয়েছিল, মৃত্যুশয্যায় শায়িত নিকটাত্মীয়কে শেষ দেখা বা এ জাতীয় অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনো নাগরিক বাইরের কোনো দেশে যেতে পারবেন না।

একইভাবে, বাইরের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের নিজ দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম জারি করা হয়।

আর অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়া ত্যাগের সুযোগ রাখা হলেও বাইরের দেশের ভ্রমণকারীদের প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, যা এখনও জারি আছে।

অস্ট্রেলিয়ায় এখন নামামাত্রই ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়, যার খরচ পড়ে  ৩ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার বা ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

নভেম্বর থেকে এ বিধিনিষেধও শিথিল হচ্ছে। নতুন নিয়মে টিকা নেওয়া নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার পর থাকতে হবে ৭ দিনের ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’।

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন