নওগাঁয় জনবসতি এলাকায় গুড়া চালনী মিলের কার্যক্রম হুমকির মুখে পরিবেশ

নওগাঁয় জনবসতি এলাকায় গুড়া চালনী মিলের কার্যক্রম হুমকির মুখে পরিবেশ

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁয় জনবসতি এলাকায় বেআইনী ভাবে স্থাপন করে ধানের গুড়ার চাকী ও চালনী মিলের কার্য়ক্রম চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই মিলের গুড়ার কনা বাতাসে উড়ে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষন করছে। ভোগান্তিতে পড়ছে এলাকাবাসী। পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের পিরোজপুর মহল্লায় কওমী মাদ্রাসা ও মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ওই মিলটি। এব্যাপারে স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী (নারী-পুরুষ) বৃহস্পতিবার দুপুরে এই পরিবেশ দূষনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উক্ত মাদ্রাসা পাড়ায় পিরোজপুর মহল্লার জনৈক আব্দুল করিম সাহানা বুলু তার নিজ দখলীয় সম্পত্তিতে একটি গুড়া চালনী মিল বসিয়ে পার-নওগাঁ হাজীপাড়ার জনৈক সহিদুল ইসলামকে ভাড়া দেন। সহিদুল ইসলাম ভাড়া নিয়ে উক্ত মিলে ধানের গুড়ার চাকী ও চালনী মিল চালানো শুরু করেন। ওই মিলের কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে আশপাশের মাটি কাঁপতে থাকার কারনে মিলসংলগ্ন বাড়িঘরের দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। সার্বক্ষনিক চাকী ও চালনী মিল চালানোর কারনে চারদিকে বাতাসের মাধ্যমে ধানের গুড়া, ধুলিকনা ও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় পার্শ্ববর্তী লোকজনের এ্যালার্জি, হাঁচি-কাশি এবং এ্যাজমা রোগ দেখা দিচ্ছে। এছাড়া মিলের সামনে রাস্তায় ট্রাক, ট্রাক্টর, পিকআপ ভ্যান রেখে লোড-আনলোড করার সময় পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নাক, মুখ ও চোখে গুড়া উড়ে পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ভুক্তভোগীরা এব্যাপারে পৌরসভায় অভিযোগ দিলে মিল মালিকরা পৌরসভাকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বাদীপক্ষ তথা মিলমালিকরা গত ৩০-০৯-২১ তারিখের আদালতের রায়ে হেরে যান। মামলায় হেরে গেলেও গত ১ নভেম্বর থেকে মিল মালিকরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারো পুরোদমে মিল চালাতে শুরু করেছে। ফলে পরিবেশ ফের দূষিত হয়ে পড়ছে।#

আপনি আরও পড়তে পারেন