নির্বাচনী সহিংসতায় ছাতকে মহিলা সহ ৩৫ জন আহত, আটক ২২ জন

নির্বাচনী সহিংসতায় ছাতকে মহিলা সহ ৩৫ জন আহত, আটক ২২ জন

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ

ছাতকে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি করাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলা সহ  প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, বিগত ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী উপজেলা যুবলীগ এর সাধারন সম্পাদক আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক এর চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ বিল্লাল আহমদ এর ভাগিনা উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন এর কাকুরা গ্রাম নিবাসী মোঃ আব্দুল কাহার এর ছেলে আব্দুল আলীম ও এই নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগ এর বিদ্রোহী স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন এর বাতিজা রুবেল আহমদ এর মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে ১৪ ই নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় কথাকাটি হলেও তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় পরিবেশ শান্ত হয় । এই  ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫ ই নভেম্বর রোজ সোমবার সকালে খুরমা উত্তর ইউনিয়ন এর আমেরতল গ্রামে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে  উভয় পক্ষের  সাহেদ আহমদ (২৪) আতিক হাসান (২৬), বদরুল (২৫), পারভীন আক্তার(৪০) মরিয়ম বেগম (৫৫), মুক্তার (২৩), আমির আলি (৫৫) আবুল (৬০), রাসেল (৩০), মারুফ আহমদ (২৫), ছুরুক মিয়া(৪৫), ছায়েদ আহমদ (২৮), লিটন মিয়া (৩২), হানিফ আলি (৫০), রজব আলি (৫৩) জলাল মিয়া (৩২) ও শরিয়ত আলী (৪০) সহ প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যান্য আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয় এর সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন