বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বাড়ির পাশে টয়লেটে যাওয়ার পথে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় এক কলেজ ছাত্রীকে (১৯)। ধর্ষণ করতে না পেরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।এ ঘটনায় ভুক্তভোগির পরিবার আদালতে অভিযোগ করে।

Carrier AC - Upto 45% Discount
Carrier AC – Upto 45% Discount

ভুক্তভোগি ওই কলেজ ছাত্রীর মা বলেন, আমার দুই মেয়ে। বড়টার বিয়ে হয়ে গেছে। আর ছোট মেয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ে। মেয়েটি কলেজেযাওয়া আসার পথে একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে  বিল্পব (২৮) প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি সব সময়ই বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর সকালে মেয়ে বাড়ির পাশে পারিবারিক টয়লেটে যেতে বের হয়। সেখানে ওঁৎপেতে থাকা বিপ্লব পেছন থেকে তাকে জাপটে ধরে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেস্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে সে আমার মেয়ের গলার পাশে কামড়ে দেয় এবং মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে খামচে দেয়। এ সময় মেয়ের চিৎকারে আমরা ছুটে গেলে অভিযুক্ত বিপ্লব পালিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর ওইদিন বিষয়টি অভিযুক্তের পরিবারকে অবহিত করলে তারা উল্টা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের মারধরে আমার এক বোন, বড় মেয়ে ও তার ছেলে আহত হয়। মারধরের অভিযোগটি ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় দেয়া হয়েছে। আর এলাকার প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপের কারণে ছোট মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ থানায় জমা দিতে পারিনি। যার কারণে ২ ডিসেম্বর রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল-২ আদালতে বিপ্লবকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগির বড় বোন বলেন, আমাদের পরিবারে কোনো ছেলে মানুষ নেই। যার কারণে গ্রামের বিপ্লব নামের এক যুবক আমার কলেজ পড়ুয়া বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে সে আমার বোনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে দেয়। তার মারধর ও নির্যাতনের কারণে সে গত ৮দিন পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি ছিল। এরমধ্যে আমরা আদালতে নির্যাতনের একটি অভিযোগ দেই এরপর থেকে অভিযুক্ত পরিবারের লোকজন একজন জনপ্রতিনিধির প্রভাব খাটিয়ে আমাদের হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। তাদের কথামত নির্যাতনের বিষয়টি গ্রামে সমাধান না করায় ওই পক্ষ আমাদের উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে আছে।

জিউপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জেসমিন আরা আলেয়া বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে তা শুনেছি। তবে বিষয়টি গ্রামেই সমাধান করতে ছেলে পক্ষ আমাদের কাছে এসেছিল। কিন্তু মেয়ে পক্ষ আমাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে আদালতে গেছেন। যার কারণে এ বিষয়ে আর কিছুই বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, কলেজ ছাত্রী নির্যাতনের বিষয়টি শুনেছি। তারা আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে তারা থানায় অভিযোগ করলে অব্যশই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন