শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের অবহিতকরন সভা

অরবিন্দ দেব, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :মহান বিজয় দিবস  উপলক্ষে ‘বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী’ পালনে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর)  বিকেলে উপজেলা পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম।
এসময় শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম অর রশীদ তালুকদার, এবং স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ বছর ডিসেম্বর জুড়ে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এমন ভাবে পালন করছি যাতে আগামী প্রজন্ম যখন স্বাধীনতার শতক উৎযাপন করবেন- তখন তারা যেন আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের কথা স্মরণ করেন। যা দেশে একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, মাস ব্যাপী এ সুবর্ণ জয়ন্তীর সব কর্মসূচি ভিন্ন আঙ্গিকে পালন হবে।
কর্মসূচীর মধ্যে প্রত্যূষে ৫০ বার তোপধ্বনি,  শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও বিখ্যাত ব্যান্ডদল এবং অন্যান্য বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘সুবর্ণজয়ন্তী কনসার্ট।
এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান মাস্ক’ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে উন্নত মানের মাস্ক বিতরণ করা হবে।
এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা, শহরের প্রধান প্রধান সডক ও সড়কদ্বীপে ব্যানার, ফেস্টুন সজ্জিতকরণ। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বীর শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকালে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, গার্লস গাইড, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমে জনমত সৃষ্টির জন্য আলোচনা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত, হাসপাতাল, এতিমখানা, শিশু সদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এর কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন