নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে সংলাপ সংলাপ খেলা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দল গলোকে ডেকে ডেকে সংলাপ করছেন। কীসের সংলাপ? কেমন করে ইসি গঠন করবে? নির্বাচন কমিশন গঠন করে কী হবে? যে সরকার আছে সে সরকারই তো নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ যতোদিন সরকারে থাকবে, ততোদিন ইসি গঠন করে কোনো লাভ হবে না। সংলাপ করে কোনো লাভ হবে না। কথায় আছে, পুরোনো জিনিস আবার নতুন বোতলে দিয়ে দেখিয়ে কোনো কাজ হবে না।
তিনি বলেন, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে সে নির্বাচন কোনদিন অবাধ সুষ্ঠু হতে পারে না। আমাদের অভিজ্ঞতা ১৪ সালের নির্বাচন, ১৮ সালের নির্বাচন। আমাদের অভিজ্ঞতা এখন স্থানীয় পর্যায়ে যে নির্বাচন হচ্ছে ইউপি নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন সব জায়গায় দেখছি সরকার দলীয় লোকজন জোর করে সব ফলাফল তাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই এরকম নির্বাচন করে কোনো লাভ নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমস্যার সমাধান এক জায়গাতেই। তা হচ্ছে নির্বাচনের সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে। যাকে আমরা বলি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর এই সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে তার অধীনে ইসি গঠন করতে হবে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সরকার বেআইনিভাবে ক্ষমতায় থেকে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য আইন দেখাচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তেই চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো দরকার। আমরা বারবার বলেছি মানবিক কারণে তাকে বিদেশে যেতে বাঁধা দেবেন না। কিন্ত তারা সে কথা শুনছে না। যদি এই কারণে খালেদা জিয়ার মৃত্যু হয় তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করে, গুম-হত্যার মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।