আমরা আওয়ামী লীগের মতো বাকশাল করি নাই: নজরুল ইসলাম খান

আমরা আওয়ামী লীগের মতো বাকশাল করি নাই: নজরুল ইসলাম খান

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া আমাদের গণতন্ত্র করতে শিখিয়েছেন। আমরা আওয়ামী লীগের মতো বাকশাল করি নাই। শহীদ জিয়া বাকশালীয় সরকার ব্যবস্থাপনার ওপর গণতন্ত্রের বাগান বসিয়ে গেছেন। খালেদা জিয়া জনগণকে সাথে নিয়ে ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাকে আজকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অবহেলায় খালেদা জিয়াকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার বিকেলে জামালপুর শহরের ফুলবাড়িয়া পুরাতন ঈদগাহে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সুবিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে সুবিচারকে অস্বীকার করা হয়, উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ঠিক একইভাবে সুচিকিৎসাকে যদি বিলম্বিত করা হয়, তাহলে সুচিকিৎসাকে অস্বীকার করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাকে বিলম্বিত করে তার সুচিকিৎসাকে অস্বীকার করা হচ্ছে। আইনের অযুহাত দেখিয়ে তার সুচিকিৎসাকে বিলম্বিত করা হচ্ছে। আর এই সুচিকিৎসার অভাবে খোদা না করুক খালেদা জিয়ার যদি কোন ক্ষতি হয়, সেই ক্ষতি হবে বাংলাদেশের জনগণের। সেই ক্ষতি হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে কোটি কোটি ভোট পায়। কিন্তু সবাই বিএনপির সদস্য না। তারা বিএনপি, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে ভালোবেসে ভোট দেয়। সরকারের অবহেলা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে খালেদা জিয়ার কোন অঘটন ঘটলে সেই কোটি কোটি মানুষ যে কী করবে তা আমরা জানিনা। তারা কি আমাদের হুকুম মানবে? বর্তমান সরকার বিএনপিকে সেই পথেই ধাবিত করছে। এই দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি রাজপথেই আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেই। তার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আগামীদিনের যেকোন আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীসহ দেশের সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে এই গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ-সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। এছাড়াও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক উপমন্ত্রী মো. সিরাজুল হক ও সাবেক এমপি সুলতান মাহমুদ বাবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এই গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন। জামালপুর জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গদলের সারা জেলা থেকে হাজারো নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে এই গণসমাবেশে অংশ নেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন